(আকিবুল ইসলাম হারেছ, চান্দিনা)
কুমিল্লার চান্দিনায় প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে একটি বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি।
আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানান, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় চান্দিনা উপজেলার ১৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ৮৬৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ৪১০জন শিক্ষার্থী পাশ করে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১৫ জন শিক্ষার্থী। একমাত্র উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নাওতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি। ওই বিদ্যালয় থেকে ১০ জন পরীক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
ওই বিদ্যালয়ের ১৪৩ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৫ জন শিক্ষক থাকার পরও এমন হতাশা জনক ফলাফল অত্যন্ত দুঃখ জনক। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান উপজেলা শিক্ষা অফিসার।
(আবদুল্লাহ আল মারুফ, বরুড়া)
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার চা বিক্রেতা আবদুল খালেক প্রতিষ্ঠিত নলুয়া চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট(জেএসসি) পরীক্ষার পাশের হার ৯৭.৯৬ শতাংশ। ২০১৯ সালের প্রকাশিত জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল আশে পাশের সব স্কুল কে ছাড়িয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ৯৮ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৯৬ জন পাশ করেছে। উত্তীর্ণদের মধ্যে ১জন জিপিএ-৫, ৫০জন গ্রেডসহ ৯৬ জন পাশ করেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, প্রতিবারের মতো এ স্কুটি ভালো ফল করেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিবাবক, কমিটিবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। অাগামী দিনগুলোততে অামরা অারো ভালো ফলাফলের প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল খালেক জানান, আমি অসুস্থ। তাই আমার মন খারাপ ছিল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের এই ফলাফল দেখেই খুবই ভালো লাগছে।
উল্লেখ্য, চা বিক্রির টাকা দিয়ে ৫২ শতক জমির উপর ১৯৯৭ সালে বরুড়া উপজেলার নলুয়া চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন অাবদুল খালেক। দুই দশক অপেক্ষার পর ২০১৯ সালে এমপিওভুক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছে স্কুলটি।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় পাশের হার শতকরা ৮৮.৮০।জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৬১৩১জন।এবছর মোট ২লাখ ৭০হাজার ৯৭৪জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। পাশ করে ২লাখ ৪০হাজার ৬২২জন।বোর্ডের অধীনে ৬টি জেলায় ১৯২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে।
২৩৯টি শতভাগ পাস। যা গতবছর ছিল ১৫৮টি।গতবছর পাশের হার ছিল ৮৪.৮০%। জিপিএ ফাইভ ছিল ৩৭৪২জন।এবছর গতবছরের চেয়ে পাশের হার ও জিপিএ ফাইভের সংখ্যা এবং শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে। তুলনামূলক পাশের এগিয়ে ছেলেরা, জিপিএ ফাইভে এগিয়ে মেয়েরা।
Leave a Reply