(মাহফুজ নান্টু,কুমিল্লা)
মা’কে নিয়ে গালমন্দ করায় কার্ভাডভ্যান চালক’কে লোহার রড দিয়ে পি’টিয়ে খু’ন করে হেলপার রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (২৪)। গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বুড়িচং থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে জয়নাল হাওলাদারের ছেলে ঘা’তক রাশেদকে তার বাড়ী শরিয়তপুর জেলার ডামুড্যার থানাধীন দশমনতারা গ্রাম থেকে আ’টক করে।
রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
সংবাদ স’ম্মেলনে তিনি আরো জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসার বাজারে থামানো একটি কাভার্ডভ্যান থেকে চালকের পিছনের সিটে কম্বলে মোড়ানো একটি লা’শ উদ্ধার করি। পরে পুলিশ সুপার মোঃ সৈয়দ নুরুল ইসলাম মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় দুটি টিম গঠন করে নিরবচ্ছিন্ন অভিযান শুরু করি। আমরা জানতে পারি লা’শটি ওই কাভার্ডভ্যান চালক আলাউদ্দিনের। নি’হত আলাউদ্দিন লক্ষীপুর জেলাধীন কমলনগর থানার চর কাদিরা গ্রামের নসু মিয়ার ছেলে।
পরে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র ও পরিদর্শক তদন্ত সাফায়েত হোসেনকে নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা টিমের সহযোগিতায় বুড়িচং থানার উপ-পরিদর্শক নন্দন চন্দ্র সরকার অভিযান চালিয়ে ঘা’তক রাশেদকে আ’টক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদ হ’ত্যাকা’ন্ডের কথা স্বীকার করে। তবে কেন এই হ’ত্যাকান্ড এ প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন জানান, ঘা’তক রাশেদের অসংলগ্ন কথার কারনে সুস্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না কি কারনে চালক আলাউদ্দিনকে হ’ত্যা করা হয়েছে। তবে চালকের সাথে থাকা ৩১ হাজার টাকা নিয়ে যায় ঘা’তক রাশেদ।
এদিকে সংবাদ স’ম্মেলন শেষে ঘা’তক রাশেদের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে সে জানায়, চালক আলাউদ্দিন কথা কা’টাকা’টির একপর্যায়ে রাশেদের মা কে নিয়ে গালম’ন্দ করে। সহ্য করতে না পেরে রাশেদ লোহার রড দিয়ে পি’টিয়ে চালক আলাউদ্দিনকে হ’ত্যা করে কম্বল মুড়িয়ে লা’শ কাভার্ডভ্যানে রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের পরে ঘা’তক রাশেদকে আদালতের মাধ্যমে কারগারে প্রেরণ করা হয়। এ খুনের সাথে আর কারো কোন সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা এ বিষয়ে পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন জানান।
Leave a Reply