অনলাইন ডেস্ক:
হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাঘমারা উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন মির্জা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) নিজগ্রাম দুতিয়াপুর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী চন্ডিপুর গ্রামে বিয়ে করেন তিনি। বিয়েতে বরযাত্রী ছিলেন প্রায় ৩০০ জন।
বিকেল পৌনে ৩টায় মা ও ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরবাড়িতে রওনা হন নাছির। সেখানে পৌঁছে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনেকে নিয়ে হেলিকপ্টারে ফিরে আসেন বর।
এদিকে, একজন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা হয়েও হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের বিষয়টি এলাকায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কুমিল্লা অনলাইন নিউজ ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লালমাই উপজেলার দুতিয়াপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে ও বাঘমারা উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন মির্জা বুধবার বরুড়া উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া প্রিয়াকে বিয়ে করেন। দুতিয়াপুর থেকে চন্ডিপুরের দূরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার। কিন্তু এতটুকু পথ পাড়ি দিতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করে এনেছেন বর নাছির উদ্দিন মির্জা।
এরপর বিকেল পৌনে ৩টায় মা ও ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরালয়ে পৌঁছান নাছির। এক ঘণ্টার মধ্যেই বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনেকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন বর।
এ বিষয়ে বাঘমারা উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বী বলেন, শখের বশেই হেলিকপ্টারটি ভাড়া করে আনা হয়েছে। বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব তো অনেক কম। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়েছে। বর তার মা ও ভাইকে নিয়ে কনের বাড়িতে গেছেন।
তিনি বলেন, বিয়েতে বরযাত্রী প্রায় ৩০০ জন ছিল। বর হেলিকপ্টারে গেছেন, আমরা মাইক্রোবাস আর বাইকে গেছি। বৃহস্পতিবার বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান হবে। বিয়েতে উকিল হয়েছেন সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াত উল্লাহ বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের বিষয়টি আমি শুনেছি। ফেসবুকেও দেখিছি। তবে নাছিরের বিয়েতে আমি দাওয়াত পাইনি।- জাগো নিউজ
Leave a Reply