অনলাইন ডেস্ক:
বিপিএলের প্রথম দিনেই বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখাল রংপুর রেঞ্জার্স। আফগানিস্তানের ক্রিকেটারে ভরপুর রংপুর রেঞ্জার্সের ব্যাটসম্যানরা যেন নেমে পড়েছেন প্যাভিলিয়নে ফেরার মিছিলে। ১৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে তারা অল-আউট হয়েছে মাত্র ৬৮ রানের। ১০৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। কুমিল্লার পেসার আল-আমিন নিয়েছেন ১৪ রানে ৩ উইকেট। সৌম্য-সানজামুল নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মুজিব এবং আবু হায়দার।
দলীয় ১৫ রানে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শেহজাদকে (১৩) দিয়ে শুরু করেন তারই স্বদেশি মুজিব-উর-রহমান। অপর ওপেনার মোহাম্মদ নাইম উইকেটে টিকে থাকার লক্ষ্যে ‘টেস্ট’ খেলতে শুরু করেন। জহুরুল ইসলাম ফিরেন ৫ রানে। ফজলে মাহমুদ ১ এবং গ্রেগরি ফিরেন ‘ডাক’ মেরে। অধিনায়ক মোহাম্মদ নবিকে (১১) ডেভিড মালানের তালুবন্দি করেন সৌম্য সরকার। বল হাতে দারুণ করা সনজিত সাহাকে (০) ফেরান সানজামুল ইসলাম। এরই সঙ্গে রংপুরের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
উইকেটে টিকে থাকার বাসনায় ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ২৭ বলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ১৭ করা ওপেনার নাঈমকে এলবিডাব্লিউ করেন সৌম্য সরকার। বল হাতে সুবিধা করতে না পারা পেসার তাসকিন আহমেদ (১) সানজামুলের দ্বিতীয় শিকার হলে ৫৭ রানে ৮ উইকেট হারায় রংপুর। দলীয় ৬৮ রানে রংপুর রেঞ্জার্সের শেষ উইকেটের পতন হয়। আল-আমিনের বলে বোল্ড হয়ে যান জুনায়েদ খান। ১৪ ওভারে মাত্র মাত্র ৬৮ রানে প্যাকেট হয়ে যায় রংপুর। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স পায় ১০৫ রানের বিশাল জয়।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। মোহাম্মদ নবির করা কুমিল্লার ই্নিংসের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে যান ইয়াসির আলী। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়েছেন নবি। মারকুটে ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার অবশ্য দ্বিতীয় ওভার থেকেই হাত খুলেন। তবে ওই যে, ত্রিশের কোটা ছোঁয়ার আগেই যথারীতি তিনি থামেন। নিজ এলাকার মুস্তাফিজের বলে রিশাদের তালুবন্দি হয়ে শেষ হয় তার ১৮ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় ২৬ রানের ইনিংস। মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার আরেক জাতীয় দলের তারকা সাব্বির রহমান (১৯)।
২২ বছরের তরুণ ডানহাতি অফস্পিনার সনজিত সাহাও আজ ভালোই ঘূর্ণিঝড় তুলেছেন। ফিরিয়ে দিয়েছেন ওপেনার ভানুকা রাজাপাক্ষে (১৫) এবং ডেভিড মালানকে (২৫)। সবাই যখন ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ, তখন লঙ্কান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দাসুন শানাকা মারকুটে ব্যাটিংয়ে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। অধিনায়কের ব্যাটেই বলার মতো পুঁজি পায় কুমিল্লা। শানাকা মাত্র ৩১ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস উপহার দেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ৯টি ছক্কা। মুস্তাফিজ, গ্রেগরি এবং সনজিত ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে অনেকদিন পর খেলায় ফেরা তাসকিন আহমেদ ২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।
দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট থান্ডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৮ বলে অপরাজিত ৮৪* রানে ভর করে ৪ উইকেটে ১৬২ রান তুলেছিল সিলেট। জবাবে ইমরুল কায়েসের ৩৮ বলে ৬১ আর কেসরিক ওয়ালটনের ৩০ বলে অপরজিত ৪৯* রানের ঝড়ে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।
Leave a Reply