অনলাইন ডেস্ক:
দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাকে করে কুমিল্লায় ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।তবে এক জন কত কেজি পেঁয়াজ দেওয়া তা জানা যায়নি।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নগরীর রাজগঞ্জ এলাকায় এ পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর।
জানা যায়, “বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরের একটি স্থানে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবে। পরে আরও কয়েকটি স্থানে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।”
ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এজন্য সরকার ন্যায্যমূল্যে টিসিবিতে পেঁয়াজ বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু করেছে। কোন অপ্রতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাথে থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই মেধাতালিকায় ১২তম হওয়ার ঘটনাটি অন্য এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর ভুল করে উত্তরপত্রে নিজের রোল নম্বরের একটি সংখ্যা ভুল ভরাট করায় এ ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এবং অনুসন্ধানে বিষয়টি জানা যায়।
জানা যায়, কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক) ২০৬০৫০ রোলধারী সাজ্জাতুল ইসলাম ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও প্রকাশিত ফলাফলে তিনি উত্তীর্ণ হয়ে ১২তম স্থান অর্জন করে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে গত ৩০ নভেম্বর তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যাদেরকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। যেখানে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
অনুষন্ধানে জানা যায়, ‘বি’ ইউনিটের প্রকাশিত ফলাফলে ১২তম হওয়া সাজ্জাতুল ইসলামের রোল ছিল ২০৬০৫০। যার ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল কোটবাড়ির টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলার ৫ নং কক্ষে। কিন্তু ঐ কক্ষে পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির স্বাক্ষর তালিকায় তার স্বাক্ষর ছিল না। তাই ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় এই রোল নম্বরের উত্তরপত্র পাওয়ায় এবং ও.এম.আর. মেশিনের মাধ্যমে এ উত্তরপত্র মূল্যায়িত হয় যার ফলে ফলাফল তৈরী হয়। ফলাফল তৈরী হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ইউনিটের প্রবেশপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্রের কপি যাচাই করলে সাজ্জাতুল ইসলামের প্রবেশপত্র পাওয়া যায়নি। তাই বিষয়টি নিয়ে ইউনিটের আহবায়ক, সদস্য সচিব ও সদস্যরা ২৪ ডিসেম্বর মিটিং করে ঐ রোলধারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকারের দিন তার প্রবেশপত্র যাচাই বাছাই করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এখানে ঐ কেন্দ্রের কোন গাফিলতি আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে বিষয়টি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীকেও অবগত করা হয়।
কিন্তু ফলাফলের পর সাজ্জাতুল সাক্ষাৎকারেও অংশগ্রহণ করতে আসেনি। পরবর্তীতে এ ঘটনা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠলে খোঁজ নিলে দেখা যায়, ঐ কেন্দ্রের একই ভবনের তৃতীয় তলার ১১ নং কক্ষে পরীক্ষা দেওয়া ২০৬১৫০ রোলধারী মোঃ আলী মোস্তাকিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তার উত্তরপত্র নেই। যেখানে ২০৬১৫০ রোলধারী ভর্তিচ্ছু মোঃ আলী মোস্তাকিন উত্তরপত্রে রোল নম্বর লেখার নির্ধারিত স্থানে সঠিক রোল লেখলেও বৃত্ত ভরাটের ‘১’ এর স্থলে ‘০’ ভরাট করেন। ঐ কক্ষের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শকের অসর্তকতায় বিষয়টি ধরা না পড়ায় উত্তরপত্রটি ভুলভাবেই মূল্যায়িত হয়। যার ফলে ২০৬১৫০ রোলধারী ভর্তিচ্ছু মোঃ আলী মোস্তাকিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তিনি রোল নম্বর ভুল লেখায় মেধাতালিকায় স্থান পায়নি। যার ফলে ২০৬০৫০ রোলধারী সাজ্জাতুল ইসলাম ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও মেধা তালিকায় স্থান পায়।
এ বিষয়ে ২০৬০৫০ রোলধারী সাজ্জাতুল ইসলাম বলেন,‘আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি নি। আমি ২৯ নভেম্বর পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পরে বিষয়টি জানতে পারি। যদিও ভাইবায় অংশগ্রহণের জন্য আমার ফোনে এসএমএস এসেছিল তবে আমি ঐ এসএমএস এ পাত্তা না দিয়েই ডিলেট করে দেই।’
‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘এটি কোন জালিয়াতি কিংবা ইউনিটের দায়িত্বরত সদস্যরা দায়ী নয় বরং একজন পরীক্ষার্থীর ভুল ও ঐ কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পরিদর্শকদের দায়িত্বে অবহেলার কারনে এমনটি হয়েছে। আর বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সাথেই আমরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে উপাচার্য মহোদয়কে অবগত করেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন,‘এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। একটি সুষ্ঠু ভর্তি পরীক্ষাকে যারা এমন পরিস্থিতিতে ফেলেছে তাদের বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে।’
Leave a Reply