অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লায় সীমান্তে যেকোনো অনুপ্রবেশের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে কুমিল্লা-১০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। কুমিল্লা অঞ্চলে ১০৩ কিলোমিটার সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়ে ২৪ ঘণ্টাই সতর্ক থাকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা বিজিবির কর্মকর্তারা।
তারা জানান, ভারতের আসাম রাজ্যের নাগরিক পঞ্জি থেকে অনেকের নাম বাদ যাওয়া ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা কেউ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এ বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য জানান কুমিল্লা-১০ বিজিবির কুমিল্লা বিবিরবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ওমর আলী।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া আছে আগে থেকেই।
কুমিল্লা বিবিরবাজার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এন আই নকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, স্থলবন্দর এবং বিবিরবাজার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সব সময় সজাগ দৃষ্টি রেখে কাজ করছে। অবৈধভাবে একজন অনুপ্রবেশকারীও ইমিগ্রেশন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে যেতে পারবে না।
(নাজমুল সবুজ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়)
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আসন্ন সমাবর্তনে অংশ না নিলেও সমাবর্তনের সমপরিমান ফি দিয়ে সনদ নেওয়া এবং সমাবর্তনের জন্য উচ্চ ফি নির্ধারণ করার সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করার জন্য আইনি নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ তারেক রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই নোটিশ প্রেরণ করা হয়। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূইয়া মোঃ তারেক রহমানের পক্ষে নোটিশটি (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণ করেন।
আইনি নোটিশে বলা হয়, আগামী ২৭ জানুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে অংশগ্রহণের রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিকাশের মাধ্যমে প্রত্যেক স্নাতক ডিগ্রীধারীদের জন্য ৩৫৪০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর এর ক্ষেত্রে ৪০৫০ টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে সমাবর্তনে অংশ না নিলেও সমাবর্তনের সমপরিমান ফি দিয়ে সার্টিফিকেট নিতে হবে। যাহা বে-আইনি। যেখানে শিক্ষার্থীগন শিক্ষা জীবন শেষ করে বেকার তাদের উপর বিষয়টি মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
নোটিশটিতে আরো বলা হয়, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্নাতক ডিগ্রীধারীদের জন্য ২০০০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর এর ক্ষেত্রে ৩০০০ টাকা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন নিবন্ধন ফি বেশি ধার্য্য করায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছে না।
নোটিশ প্রেরণের তারিখ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে নোটিশ দাতার দাবির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় সমাবর্তন বন্ধে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থী তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সমাবর্তন বন্ধ হোক সেটা আমরা কেওই চাই না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সমাবর্তনের ফি কমানোসহ সমাবর্তনে অংশ না নিলেও সমাবর্তনের সমপরিমান ফি দিয়ে সার্টিফিকেট তোলার এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। সমাবর্তনে অংশ না নিলেও সমাবর্তনের সমপরিমান ফি দিয়ে সার্টিফিকেট তোলার নিয়মটি এক ধরনের জুলুম ও অন্যায়। আমরা চাই সবার উপস্থিতিতে একটি সার্থক সমাবর্তন।’
এ বিষয়ে নোটিশদাতা আইনজীবি এডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূইয়া বলেন,‘ সংশ্লিষ্টদের বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ফি সংক্রান্ত আইনি নোটিশ প্রেরণ করি এবং সেখানে নোটিশ প্রেরণের ৭২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। আশা করি নোটিশ গ্রহিতাগণ এ বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ নেবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন,‘আমরা নোটিশটি এখনও হাতে পাইনি তবে নোটিশ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমরা হাতে পেলে আমরাও ঐভাবে আইনি ব্যবস্থা নিব।’
সমাবর্তনের জন্য উচ্চ ফি নির্ধারণ ও সমাবর্তনের সমপরিমান ফি দিয়ে সার্টিফিকেট তোলার বিষয়ে উপাচার্য বলেন,‘আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে প্রতিষ্ঠিত সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফি’র সাথে সমন্বয় করে ফি নির্ধারণ করেছি। আর সমাবর্তনের সমপরিমান ফি দিয়ে পরবর্তিতে সার্টিফিকেট তোলার বিষয়টি আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply