অনলাইন ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় সারাদেশের সাথে চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নি হত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
স্থানীয়রা আভিযোগ তুলছে, এই ভ য়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে তূর্ণার চালক সিগনাল অমান্য করায়। তূর্ণা ট্রেনর একাধিক যাত্রী সাংবাদিককে বলেন, ২টা ৫৬ মিনিটে ভয়াবহ ঝাঁকুনির পর ট্রেন থেমে যায়। তারপর তারা নেমে দেখেন ভয়া বহ এই দৃশ্য।
মন্দবাগ স্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, তূর্ণার চালক তথা লোকো মাস্টারকে ট্রেন থামানোর জন্য আউটার ও হোম দুই স্থানেই লাল বাতি সংকেত দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত চালক ট্রেন দাঁড় করাননি বলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্রেন কর্মকর্তারা জানান, উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে চলন্ত অবস্থায়। উদয়নকে লুপ বা সাইড লাইনে যখন পাঠানো হচ্ছিল তখন এর পেছনের তিনটি বগি মূল লাইনে থাকতেই ঢাকাগামী তূর্ণা চলে আসে এবং এ সংঘর্ষ ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক বলেন, এ পর্যন্ত ১৬ জন নি হতের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৯ জনের লা শ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, বাকি ৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে মা রা যায়। আহত এ পর্যন্ত ৭৪ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশ ঙ্কাজনক।
কুমিল্লায় ৩ বক্তার ওয়াজ নিষি দ্ধ জেলা প্রশাসন
অনলাইন ডেস্ক:
ওয়াজের নামে দেশে ধর্মীয় উ’স্কানিমূলক বক্তব্য রাখার দায়ে কুমিল্লা জেলায় তিন বক্তার ওয়াজ নি’ষিদ্ধ করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর বলেন, ওই ওয়াজকারী বক্তারা দীর্ঘ বছর ধরে ওয়াজের নামে সাধারণ মানুষকে বি’ভ্রান্তি করে আসছে। তাদের ওয়াজে ইসলামের আদর্শ দেশ প্রেমের চেয়ে উগ্রবাদ প্রকাশ পায়, তাই তাদের ওয়াজ কুমিল্লায় নি’ষিদ্ধ করা হলো।
জেলা আইনশৃং’খলা কমিটির সভায় উপস্থিত পুলিশ সুপার মো: সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ওয়াজের নামে ব্যাপক শব্দদূষণ হয়, যা কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষ’তিকর।
যে স্থানে মাহফিল আয়োজন করা হবে সেখানে অবশ্যই সাউন্ড সিস্টেমটি প্যান্ডেলের ভেতরে রাখার সি’দ্ধান্ত নেয়া হয়।
নি’ষিদ্ধ হওয়া তিন বক্তা হলেন তারেক মনোওয়ার, আবদুর রাজ্জাক ও জসিম উদ্দিন। সোমবার কুমিল্লা জেলা আইনশৃং’খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর বলেন, ২০২০ সাল হবে মুজিব বর্ষ। আর ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও সরকারি দফতরগুলো নিজ উদ্যেগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী অনুপম বড়ুয়া জানান, মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন প্রতিটি ওয়ার্ডে আলোকসজ্জা করবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: মনিরুল হক সাক্কু সব আয়োজন সম্পন্ন করছেন বলে জানান। এদিকে মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যানবৃন্দ বিভিন্ন প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।
যা রেজুলেশন আকারে নেয়া হয়েছে। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী।
Leave a Reply