অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এখন শান্ত। তবে নিশ্চিন্তে থাকা যাচ্ছেনা কারণ আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে নিয়মিত সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়। এরপরের বার আরব ও বঙ্গোপসাগরে যে ঝড়টি আসবে তার নাম হবে পবন। এরপর যেটি আসবে তার নাম হবে আস্ফান। তবে এর পরেরটির নাম কি হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি। উত্তর ভারত মহাসাগরে অবস্থিত ৮ টি দেশ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ওমান এবং মালদ্বীপ এই দেশগুলোই আরব ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে। তাই দ্রুতই তৈরি করা হবে নতুন নামের তালিকা।
ভারতের কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান দপ্তরের ঘূর্ণিঝড় বিভাগের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র এ বিষয়ে বলেন, ‘নতুন বছরের জানুয়ারির মধ্যে নতুন তালিকা তৈরি হবে। সব দেশের সঙ্গেই আলোচনা চলছে।’ ইতিমধ্যে বাংলাদেশসহ আটটি দেশ, নিজদের মতো করে বেশ কিছু নাম ঠিক করে ফেলেছে। তার মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হবে নতুন নাম।
যেভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়ঃ ১৯৪৫ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। পূর্বনির্ধারিত একটি নামের তালিকা থেকে একেকটি ঝড়ের নাম দেওয়া হয়। কখন, কোথায়, কোন ঝড় হয় তা নিয়ে বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য এদের নামকরণ করা হয়। কোনো ঝড়ের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার অর্জন করে, তাহলে তাকে একটি নাম দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে ওডিশায় ঘূর্ণিঝড়ের পর ২০০০ সালে ওয়ার্ল্ড মেটিওরলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) ও এসক্যাপ তাদের বৈঠকে উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরুর বিষয়ে একমত হয়। ২০০৪ সালে প্রথম ‘অনিল’ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্কঃ
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল‘ এর কেন্দ্র স্থল-লঘুচাপ আকারে
আজ সকাল ৯ টার দিকে কুমিল্লা জেলার উপর
অবস্থান করছে।আজকেই কুমিল্লার মধ্য দিয়ে কেন্দ্র বাংলাদেশের বাইরেভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে অবস্থান করবে।এই লঘুচাপ থেকে ঝড় জনিত কারণে তেমন কোনোক্ষতির আশঙ্কা আর থাকছে না।
কুমিল্লায় রাত থেকে আর বৃষ্টি হয়নি তবে আকাশ মেঘলা রয়েছে।
এই ঝড়ের মেঘ বাংলাদেশের আকাশের উপর থাকায় ঢাকাবিভাগের পূর্ব অংশ, সিলেট বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ
এবং বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু স্থানের মধ্যে আকস্মিকবৃষ্টিপাতের প্রবণতা থাকবে প্রায় ১৩ তারিখ পর্যন্ত।দেশের উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে ক্রমশ
আবহাওয়া পরিষ্কার হতে থাকবে।
রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা বিভাগের কিছু অংশ,খুলনা বিভাগের বেশ কিছু অংশ প্রায় সম্পূর্ণরূপে
প্রভাবমুক্ত হয়েছে।তীব্র রোদের উপস্থিতি থাকবে এই সমস্ত এলাকায়।অন্যান্য বিভাগের কিছু কিছু এলাকার মধ্যে রোদ এবং মেঘের খেলা চলবে।
গত তিন দিন টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়ে কুমিল্লা বাসী। কুমিল্লা নগরীরর বিভিন্ন এলাকার অলি-গলিসহ সড়কে পানি জমে কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে গেছে। টানা তিন দিন ধরে থেমে থেমে, কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সরকারি ছুটির দিনেও বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ রাস্তায় নেমেই ভোগান্তিতে পড়ে। কুমিল্লা নগরীরর বেশি কিছু সড়কে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় বৃষ্টির কারণে যানবাহল চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
হিমেল বাতাসের সাথে বৃষ্টিতে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। অন্যান্য ছুটির দিন বিভিন্ন শপিং মল ও মার্কেটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতার সমাগম হলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হননি।
থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় নগরীর প্রধানসড়ক বিভিন্ন রাস্তাঘাট স্যাঁতস্যাঁতে ও কর্দমাক্ত হয়ে ওঠে। জীবিকার তাগিদে কিংবা ব্যক্তিগত কোনো কাজে যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে পথ চলতে পারলেও ছাতা ছাড়া যারা বের হয়েছিলেন তারা পড়েন বিপাকে। অনেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজেই গন্তব্যের দিকে যেতে দেখা গেছে।
কুমিল্লা নগরীরর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে রাস্তাঘাটে রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছেন। ফুটপাথের হকারদের বেচাকেনায় প্রভাব পড়ে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম এবং পণ্য ভিজে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই দোকান খোলেনি। যারা খুলেছেন তারাও দোকানপাট গুটিয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
Leave a Reply