অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আশা শিক্ষার্থীদের অনেকে গভীর রাতে আসায় রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়। তাই তাদের সুবিধার্থে পুলিশ লাইন এর ভিতর নবনির্মিত ছয়তলা ব্যারাকে থাকার ব্যবস্থার সুযোগ করে দেন পুলিশ সুপার কুমিল্লা জনাব সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম মহোদয় । ইতোমধ্যে অনেকেই আসতে শুরু করেছেন এবং তাদের মাঝে কম্বল, মশার কয়েল সহ নানা ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দিচ্ছেন কুমিল্লা জেলার পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
আজ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু । শুক্রবার‘এ’ ও ‘বি’ এবং শনিবার ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদারসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা এবং পুলিশ প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের, বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর ১৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়েছে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষার্থীদের বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। জনসংযোগ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এমদাদুল হক সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিসূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মুখমন্ডল ও কান খোলা রাখতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, সানগ্লাস, সিম/ক্রেডিট কার্ড বা কোন প্রকার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে তালিকাভূক্ত সংশ্লিষ্ট বিশেষ দায়িত্বরত ব্যক্তি ব্যতিত অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের মূল ফটক দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় তাদের তল্লাশি করা হবে। এছাড়া কেন্দ্র ও বাহিরে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট নিয়োজিত থাকবে।
বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার সময় আইন-শৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রক্টরিয়াল বডির পাঁচটি টিম কাজ করবে। র্যাগিংসহ যেকোন অনিয়ম প্রতিরোধে নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে জালিয়াতি রোধে প্রতি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় চারজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে।’
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে কুবির প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৬৫ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। এ শিক্ষাবর্ষে ছয়টি অনুষদের অধীনে মোট ১ হাজার ৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬৮ হাজার ৭৭ জন শিক্ষার্থী। ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) সাতটি বিভাগে ৩৫০টি আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য আবেদন করেন ২৬ হাজার ৯৭৫টি। ‘বি’ ইউনিটে (কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ) আটটি বিভাগে ৪৫০টি আসনের বিপরীতে ২৮ হাজার ২৯৫ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) চারটি বিভাগে ২৪০টি আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। যথাক্রমে ‘এ’ ইউনিটে একটি আসনের বিপরীতে ৭৭ জন, ‘বি’ ইউনিটে একটি আসনের বিপরীতে ৬৩ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৫৩ জন ভর্তিচ্ছু ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.cou.ac.bd ভিজিট করে এবং হেল্পলাইন ০১৫৫৭৩৩০৩৮১/ ০১৫৫৭৩৩০৩৮২ এ ফোন করে জানা যাবে।
Leave a Reply