অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। ৩টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ভিত্তিতে তাকে এই সাজা দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
জানা যায়, আইসিসির দুর্নীতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা আকসু সাকিবকে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর আবার একই বছরের ২৭ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় দীপক আগারওয়াল নামে এক জুয়াড়ির সাথে সাকিবের কথা হয় বলে জানায় তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব জানায়, সাকিবের এক পরিচিত আগারওয়ালের কাছে সাকিবের নম্বর দেয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপর আগারওয়ালের সাথে সাকিবের হোয়াটসআপ ম্যাসেজ চালাচালি হয় এবং আগারওয়াল সাকিবের সাথে দেখা করতে চায়।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রি দেশীয় সিরিজের সময় আবারও আগারওয়াল ও সাকিবের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে কথপোকথন হয়। এসময় দেখা যায় ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারিতে একটা ম্যাসেজে ম্যান অব দি ম্যাচ হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে আগারওয়াল ম্যাসেজ করে ‘do we work in this or i wait till the ipl’
গতকাল সোমবার (২৮) অক্টোবর থেকেই এই সংবাদ ঘুরপাক খাচ্ছিল যে যে দেড় বছরের জন্য নি ষিদ্ধ হচ্ছেন সাকিব। তবে তাকে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা আইসিসিকে না জানানোর কারণে তার এই শাস্তি হল।
নিষেধাজ্ঞার পর কি বলছেন বা তার বক্তব্য কি তা অবশ্যই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এ বিষয় কোন গণমাধ্যমের কাছে মুখ না খুললেও। স্বয়ং আইসিসির কাছে মতামত প্রকাশ করেছেন সাকিব। আইসিসি তাদের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট এবং টুইট বার্তায় একটি ছবি দিয়ে সাকিবের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। সেখানে লিখেছেন, “I am Obviously extremely sad to have been banned from the I love, but I completely accept my sanction for not reporting the approaches.”
Leave a Reply