অনলাইন ডেস্ক:
দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা আইসিসিকে না জানানোর কারণে তার এই শা’স্তি হল। সোমবার (২৮) অক্টোবর থেকেই এই সংবাদ ঘুরপাক খাচ্ছিল যে যে দেড় বছরের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছেন সাকিব। তবে তাকে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তবে দেশবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত, সাকিবকে ফোন করে এক জু’য়াড়ি ম্যাচ ফিক্সিং করার প্রস্তাব দিলেও সাকিব তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে তিনি আইসিসির কাছে তা জানান নি। আইসিসি জানতে চাইলেও তিনি প্রথমে ফোন কলের কথা অস্বীকার করেন। পরে আইসিসি যখন তার সামনে কললিস্ট হাজির করে তখন নিজের ভুল বুঝতে পারেন সাকিব। নিজের পক্ষে তখন সাকিব যুক্তি দাঁড় করান এভাবে-‘ব্যাপারটাকে আমি তেমন গুরুত্ব দিতে চাইনি, তাই আইসিসিকে বিষয়টি অবহিত করিনি।’ কিন্তু ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত আইসিসির যে বিধিবিধান আছে সেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে ‘কোন জুয়াড়ি যদি কোন ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয় বা তার সঙ্গে কোনভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাহলে সেটা তৎক্ষণাৎ আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে (আকসু) জানাতে হবে।
সাকিব সেটা না জানিয়ে বড় ভুল করেছিলেন। আর পরে আকসু’র কাছে ক্রিকেট জুয়াড়ির ফোন পাওয়ার কথা অস্বীকার করে সেই ভুলের মাত্রা আরো বাড়িয়েছেন। তারই শাস্তি হিসেবে এখন তার সামনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা কবলে পড়লেন দেশ সেরা এই ক্রিকেটার।
গতকাল সোমবার (২৮) অক্টোবর থেকেই এই সংবাদ ঘুরপাক খাচ্ছিল যে যে দেড় বছরের জন্য নি ষিদ্ধ হচ্ছেন সাকিব। তবে তাকে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা আইসিসিকে না জানানোর কারণে তার এই শাস্তি হল।
নিষেধাজ্ঞার পর কি বলছেন বা তার বক্তব্য কি তা অবশ্যই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এ বিষয় কোন গণমাধ্যমের কাছে মুখ না খুললেও। স্বয়ং আইসিসির কাছে মতামত প্রকাশ করেছেন সাকিব। আইসিসি তাদের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট এবং টুইট বার্তায় একটি ছবি দিয়ে সাকিবের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। সেখানে লিখেছেন, “I am Obviously extremely sad to have been banned from the I love, but I completely accept my sanction for not reporting the approaches.”
Leave a Reply