অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। টানা তিনদিনের দীর্ঘ যানজটে পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। যানজটে আটকা পড়া নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীরা গরমে আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়েন।বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্স ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা পড়ে রোগীরা কষ্ট ভোগ করেন।
রোববার সকাল ৭টায় চার লেন ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের স্থিরচিত্র ধারন করা হয় দাউদকান্দি গৌরীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে।
১৯ অক্টোবর মেঘনা ও সোনারগাঁও থেকে এই যানজট বৃদ্ধি পেয়ে দাউদকান্দি উপজেলার আমিরাবাদ জিংলাতলী রায়পুর সহ ৩৫ কিলোমিটারে পৌঁছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা ব্রিজের একপাশ বন্ধ করে কাজ করা হচ্ছে। তাই শুধু একলেন দিয়ে যান চলাচল করছে। এক লেন দিয়ে যান চলাচলের কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মেঘনা সেতুর উভয় পাশে এই যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বাস, ট্রাক চালকরা কার আগে কে যাবে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ায় যানজট আরও তীব্র হয়।
ঢাকামুখী প্রাইভেটকারের যাত্রী ইমাম হাছান জানান, তিনি সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা থেকে ঢাকায় যাত্রা করেন। মেঘনা ব্রিজে গিয়ে আটকা পড়েন। রাত দেড়টায় গিয়ে ঢাকা পৌঁছেন।
ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী একটি বাসের চালক কামাল হোসেন বলেন, দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় যাতায়াত করতাম। এখন যানজটের কারণে ঢাকা থেকে কুমিল্লা আসতে ছয়-সাত ঘণ্টা সময় লাগছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি সরকার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মেঘনা সেতুর এক পাশ বন্ধ করে সংস্কার কাজ করার কারণে যানবাহন ধীর গতিতে চলছিল। এতে মেঘনা সেতুর দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। কুমিল্লার অংশে তেমন যানজট ছিল না।
Leave a Reply