অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী টাউন হল মাঠে মূল ফটকের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকে পতি তাচক্রের দল।বিকেল শেষে সূর্য যখন পশ্চিমের আকাশে হেলে পরে। যখন সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে লাল-নীল রঙ্গে সাজতে থাকে এই প্রিয় কুমিল্লা শহর। সেই মূহুর্তে কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী টাউন হল মাঠে সামান্য স্বস্তি পেতে প্রিয় বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠেন- চাকরিজীবী,বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রী, সাংস্কৃতিক কর্মী, ব্যবসায়িক, সমাজকর্মী সহ কুমিল্লার সাধারন মানুষ।
কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ লক্ষ করা যাচ্ছে সন্ধ্যা হওয়ার পরপরই কুমিল্লার এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটির মূল ফটকের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকে ১০-১২ জনের একটি পতি তার দল। বোরকা পড়া, মুখে নেকাপ লাগানো। মাঝে মধ্যে দেখা যায় নেকাপ ছাড়াই খুব ভারি মেকাপ করে দাঁড়িয়ে থাকেন এই পতিতা গুলো। সাধারন মানুষ যাতায়াতের সময় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, মুখে বাজে শব্দ উচ্চারণ করে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তিতে ফেলে দিচ্ছে।
শুধু তাই নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কয়েক জন কলেজ ছাত্র, সংস্কৃতি কর্মীর স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানা যায়। এদের একটি চক্র সহজসরল মানুষকে ফাঁ সানোর জন্যে বিভিন্ন পন্থা বের করেছে।
যেমন ধরুন, “আপনি একা রিক্সায় যাচ্ছেন; হঠাৎ করে আপনার রিক্সায় লাফ দিয়ে উঠে যাবে বোরকা পড়া নেকাপ লাগানো মহিলা। আপনি কিছু বুঝে উঠার আগেই আপনার রিক্সার সামনে এসে পড়বে বৈধ অ স্ত্রধারী একটি দল। এসেই ভ য়ভীতি দেখিয়ে মামলা/জেলের কথা বলে যা করবে তার জন্যে আপনি মোটেও প্রস্তুত নয়”।
ভুক্তভোগী দের কাছ থেকে জানা যায়- টাউন গেইট সহ সামনের ফুটপাতে, টমছমব্রীজ একালার ফলদোকানের পেছনের অন্ধকার জায়গা গুলোতে ওরা অবস্থান নেয় এবং সরল প্রকৃতি মানুষ দেখলেই এই চক্র অপারেশন শুরু করে।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন হচ্ছে প্রশাসনের বহুলোক এই এরিয়াতে থাকে ওদের নাকের ডগায় এই কাজ হচ্ছে তাহলে কেন তা এখনো অপশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
Leave a Reply