( জাগো কুমিল্লা ডট কম)
কুমিল্লায় যৌতুকের দাবিতে ফেরদৌসী আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হ ত্যার অভিযোগে মা মলা হয়েছে। মঙ্গলবার কুমিল্লা নারী ও শিশু নি র্যাতন দমন ১নং বিশেষ আদালতে ভি কটিমের বাবা খলিলুর রহমান বা দী হয়ে এ মা মলা দায়ের করেন।
এদিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ঘটনার পর থেকে ফেরদৌসীর স্বামী আনিছুর রহমান ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন প লাতক রয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১১ আগস্ট জেলার চান্দিনা উপজেলার আওরাল গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের মেয়ে ফেরদৌসী আক্তারের (২২) সাথে একই উপজেলার বরকরই গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে আনিছুর রহমানের (৩৫) বিয়ে হয়। তাদের মেহেদী রহমান নামে ১৩ মাস বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে। এদিকে বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে ফেরদৌসী আক্তারের স্বামী ও পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময়ে তাকে শা রীরিক ও মানসি কভাবে নি র্যাতন করে আসছিল। এতে সে তার বাবার নিকট হতে ১ লাখ টাকা এনে দেয়।
এর কয়েক মাস পর আনিছুর রহমান বিদেশ যাওয়ার কথা বলে আবারও টাকা এনে দেওয়ার জন্য ফেরদৌসীকে চাপ সৃষ্টি করলে সে তার বাবার নিকট হতে আ ড়াই লাখ টাকা এনে দিয়েছে। কিন্তু সে বিদেশ না গিয়ে নানাভাবে ওই টাকা খরচ করে। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ নিয়ে সামাজিক দেন-দরবার হলেও ফেরদৌসী নি র্যাতনের শিকার হতে থাকে।
একপর্যায়ে গত কয়েকমাস ধরে আনিছুর রহমান স্ত্রী-সন্তানসহ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পূর্ব দূর্গাপুর গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। মাম লায় বলা হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর আনিছ ব্য বসা করবে বলে আবারও ৩ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য ফের দৌসীকে চাপ সৃষ্টি করে। এতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওইদিন গভীর রাতে আনিছ ও তার পরিবারের লোকজন ফেরদৌসীকে নি র্যাতনপূর্বক হ ত্যা করে এবং তার মু খে বি ষ ঢেলে দেয়। পরে পুলিশ ওই বাসা থেকে ফেরদৌসীর লা শ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করে এবং এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানায় অ পমৃ ত্যুর মামলা হয়।
ঘটনার পর থেকে আনিছ পলাতক রয়েছে। এ ব্যা পারে মঙ্গলবার ফেরদৌসীর বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে কুমিল্লা নারী ও শিশু নি র্যাতন দমন ১নং বিশেষ আদালতে আনিছুর রহমানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের বি রুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বা দীপক্ষের অ্যাডভোকেট মো. আবদুল মমিন ও অ্যাডভোকেট ছিদ্দিকুর রহমান জানান, আদালত অ ভিযোগটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানার ওসিকে নিয়মিত মামলা (এফআইআর) হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক জানান, আদালতের আদেশের কপি এখনো থানায় পৌঁছেনি, আদেশের কপি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply