লাকসাম প্রতিনিধি ঃ
কুমিল্লার লাকসামে এক স্কুল ছাত্রীর বিয়ের আগেসন্তান প্রসবের কয়েক দিনের মাথায় অন্যত্র ওই নবজাতককে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রির সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লাকসাম পৌরসভার উত্তর পশ্চিমগাঁও গ্রামে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,লাকসাম পৌরসভার উত্তর পশ্চিমগাঁও এলাকার এক স্কুল ছাত্রী একই এলাকার মৃত.নেয়ামত উল্যাহর ছেলে আবদুল কুদ্দুছের সাথে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে আন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় সমালোচনা শুরু হলে ওই ছাত্রীর বাদী হয়ে গত ১৮ আগষ্ট কুমিল্লার আদালতেনারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকে আবদুল কুদ্দুছ আত্মগোপনেচলে যায়। এর কিছুদিন পর ওই স্কুলছাত্রী একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। সন্তান জন্মের কয়েকদিন পর পার্শ্ববর্তী ফতেপুর গ্রামের প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রীর নিকট স্ট্যাম্পের মাধ্যমে নবজাতকটি কে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জানায়, আমার বিয়ের কয়েক বছর পার হলেও কোন সন্তান নেই। তাই মা হওয়ার সাধ মিটাতে নবজাতকটিকে ক্রয় করে নিয়েছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌবিন্দ কুমার শর্মা বলেন, নবজাতক বিক্রির বিষয়টি জানা নেই। মামলা চলাকালে বাচ্চা বিক্রির সুযোগ নেই। তবে মামলার আলামত হিসাবে আদালত চাইলে ওই বাচ্চাকে হাজির করা হবে।
লাকসাম থানা পুলিশের ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন,আদালতে মামলার পর নবজাতকটির ডিএনএ পরিক্ষা করা হয়েছে। বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই।
৭৬ সদস্যের কুমিল্লা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। এতে সাইফুন্নাহার মিতা শিকদারকে সভাপতি, আইরিন আহম্মেদকে সাধারণ সম্পাদক ।কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সাফিয়া খাতুন স্বাক্ষরিত অনুমোদিত একটি কমিটি । কমিটি অনুমোদনে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বাক্ষর থাকলেও এতে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর নেই।
৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সভাপতি দ্বারা স্বাক্ষরিত হলেও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক’কে এই কমিটি অনুমোদনে রাজি করাতে পারে নাই ফলে গত শনিবার বিষয়টি জানাজানি হয়। বিতর্কিত এই কমিটি জানাজানি হওয়ার পর এ নিয়ে ত্যাগি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। যাদের আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে পাওয়া যায় না, এমন একটি একতরফা নতুন মুখ দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা দাবি করেন। কেউ কেউ এক তরফা কমিটি বাতিল চেয়ে প্রয়োজনে আন্দোলন নামার হুশিয়ারি করেন। তাদের মতে যাদেরকে দলীয় কোন প্রোগ্রামে খুঁজে পাওয়া যায় না তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে এটা কিছুতেই মানার মত না। কুমিল্লা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দরা মনে করেন কুমিল্লা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ এর গুরুত্বপূর্ণ পদ দাওয়ার জন্য আরো অনেক যোগ্য ব্যক্তিবর্গ ছিলো।এ নিয়ে বিতর্কিত ঘোষিত কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনার সাথে কথা বললে তিনি জানান,
প্রথমত গঠনতন্ত্র অনুসারে একজনের স্বাক্ষরে কমিটি হয় কিনা তা নিয়ে দ্বিমত আছে ।এছারাও সিটি নির্বাচনে দল থেকে মনোনীত হয়ে নির্বাচিত হওয়া মহিলা কাউন্সিলরদের একজনও এই কমিটিতে নেই।
এই কমিটি নিয়ে আমি অবগত ছিলাম না , আমার সাথে কারো কথাও হয়নি তাই হয়তো আমার নামটাও ভুল লেখা হয়েছে। আমার অজান্তে আমাকে পদ দেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ । অত্যন্ত খুশী হয়েছি তবে আমার যেহেতু নিজেরই বহু কাজ করার সুযোগ রয়েছে , তাই অন্য কাউকে এ পদ দিয়ে দিলে দলে অন্য একজন নেতৃত্বে আসার সুযোগ পাবে । মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের এই পদে অন্য কাউকে কো অপট করে নিলে আমি খুশী হব – সেই সাথে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর নিয়ে একটি পুর্নাঙ্গ ও প্রশ্নবিদ্ধ বিহীন কমিটি অচিরেই অনুমোদন হবে সেই প্রত্যাশা করি৷
Leave a Reply