অনলাইন ডেস্ক
প্রাক্তন স্ত্রী হাসি আক্তার হ ত্যার লোমহ র্ষক বর্ণনা দিয়েছে সোহেল রানা। প্রেম করে সোহেলকে বিয়ে করেছিলেন হাসি। কিন্তু সোহেলের অত্যাচার-নির্যাতনে কয়েক মাসেই দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আলাদাভাবে বাঁচার চেষ্টা করেন। সোহেলকে ডিভোর্স দিয়ে একটু সুখ খুঁজছিলেন তিনি। চাকরিও নিয়েছিলেন। সময়গুলো ভালোই কাটছিলো। কিন্তু হাসিকে হাসিখুশিভাবে বাঁচতে দেয়নি সোহেল। দা নব রূপে হাজির হয়েছিলো তার কাছে। তারপর কেড়ে নেয় হাসির প্রাণ। বেদম মারধরে অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে গেলেও মায়া হয়নি সোহেলের। ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হ ত্যা করা হয় হাসিকে। চাঞ্চল্যকর হাসি আক্তার হ ত্যা মাম লার আসামি সোহেলকে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। কুমিল্লা শহরের ধর্মসাগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে তখন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেলো । গ্রেপ্তারের পর র্যাবের কাছে হ ত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছে সোহেল।
র্যাব জানিয়েছে, গত ১লা মে হা সিকে হ ত্যা করে সোহেল। ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টায় হাসির ভাড়া বাসায় জোর পূর্বক প্রবেশ করে সে। হাসির কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বেদ ম মা রধর করে হাসিকে। চোখে এবং মাথার মা রাত্বক আঘা ত প্রাপ্ত হয়ে অ জ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে যান হাসি। সোহেলের পা ধরে জীবন ভিক্ষা চান। বাঁ চার আকুতি জানান। কিন্তু মন গলে না সোহেলের। হাসির চুল ধরে
ফ্লোরের টাইলসের সঙ্গে উপর্যুপরি মাথায় আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে খাটের নীচে থাকা ইট দিয়ে মাথা থেঁ তলে দেয়। এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতলে ভর্তি করে তাকে। অবশেষে নিউরোলজী সায়েন্সের আইসিওতে লাইফ সাপোর্টে ছয় দিন মৃ ত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ৭ ই মে মা রা যান হাসি।
হ ত্যাকাণ্ডের চার মাস আগে সোহেল রানার সঙ্গে বিয়ে হয় হাসি আক্তারের।বিয়ের পর পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোহেলসহ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেয় হাসির। শারীরিক ও মান সিক নি র্যাতনের শিকার হন তিনি। বাধ্য হয়েই হ ত্যাকাণ্ডের দুই মাস আগে সোহেলকে ডিভোর্স দেন।
বিবাহ বিচ্ছেদের পরে হাসি আক্তার মানসিক বিপ র্যস্ত হয়ে পড়েন। তারপরও বেঁচে থাকার তাগিদে তিনি একটি এনজিওতে চাকরি নেন। সাভার থানার আমীন বাজারের শিবপুরে নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করেন। ডি র্ভোস হলেও হাসির সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখতে নানা কৌশল অ বলম্বন করে সোহেল। অফিসে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করে তাকে। এমনকি টাকাও দাবি করে। এসব বিষয়ে কঠোর হলে হাসিকে হ ত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল। অবশেষে বাসায় গিয়ে হাসিকে হ ত্যা করে সে।
এ ঘটনায় হাসির মা বাদি হয়ে সাভার থানায় একটি মা মলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পলা তক সোহেল রানাকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।গ্রেপ্তার সোহেল রানা ব্রাহ্ম নবাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানার বি দ্যাকুট গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র।
Leave a Reply