রবিউল হোসেন।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে পুলিশের সাথে ডাকাতদলের সাথে বন্ধুকযুদ্ধের সময় বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ^াস আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৩ ডাকাত নিহতসহ আরো ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে । রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় বুড়িচংয়ের পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কোমাল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ^াস বুড়িচং থানায় যোগদানের পর থেকে মাদক, ডাকাতি ও সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ ভূমিকা রেখে আসছেন এবং কর্তব্য পালনে সদা তৎপর। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় জেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কোমাল্লা গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতি খবর পেয়ে সাথে সাথে সঙ্গীয় র্ফোস ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতারি গুলি ছোড়ে। পুলিশ ও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের আরেকটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। এসময় ৩ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ ৩ ডাকাতকে কুমেক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ৪রাউন্ড গুলি, একটিপাইপগান, ২টিছোড়াঁ, ১টি ডেগার, ৭টি মুখোশ, টর্চ ২টি,৩টি স্কু ডাইভার, ৩টি মোবাইল, ১টি জিআইপাইপ,গুলির খোসা উদ্ধার করে।
আহত অপর পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই মো: মোয়াজ্জেম, এসআই পুষ্প বরণ চাকমা, এএসআই মহিউদ্দিন, ও পুলিশ কনস্টেবল রফিক।
পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা হলেন- বুড়িচং উপজেলার জগতপুর এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে ডাকাত অলি মিয়া(৪২),দেবিদ্বার উপজেলার চরবাকর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে বাবুল মিয়া(৩৮) ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার গোপাল নগর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে এরশাদ মিয়া(২৬)। নিহত ডাকাতদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় ডাকাতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
আহত বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ বিশ^াস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতারি গুলি ছোড়ে। এসময় আমার পায়েও সটগানের একটি গুলি লাগে। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ্য মনে হচ্ছে।
Leave a Reply