অনলাইন ডেস্ক:
বর্তমানে দেশজুড়ে শুধু একটা আলোচনা চলছে। নারী অফিস সহকর্মী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার সঙ্গে জামালপুরের প্রাক্তন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা।
ইতিমধ্যে এ ঘটনায় আহমেদ কবীরকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। তার জায়গায় নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. এনামুল হক। রবিবার (২৫ আগস্ট) এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে নতুন একটি সংবাদ এসেছিল গণমাধ্যমের কাছে। নিজের চাকরি বাঁচাতে আহমেদ কবীর সাধনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নাম-পরিচয় উল্লেখ না করে এক সূত্রের বরাতে বলা হয়, স্বামীর চাকরি বাঁচাতে আহমেদ কবীরের বর্তমান স্ত্রী কঠিন হলেও এতে সম্মতি দেয়ার চিন্তা করছেন।
তবে এসব গুঞ্জনের কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে জানতে আহমেদ কবীর ও সাধনার মোবাইল নম্বরে বারবার কল করা হলেও তাদের দু’জনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে এবার তলপেটের ব্যথার কথা বলে চিকিৎসকের কাছ থেকে মেডিকেল সনদ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন সাধনা। এতে তিনি চিকিৎসকের ওপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়েছেন। রাগে-ক্ষোভে চিকিৎসককে দেয়া ৫শ’ টাকা ফিস ফেরত নিয়েছেন তিনি।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ওই চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করা শর্তে গণমাধ্যমকে জানান, গত বুধবার (২৮ আগস্ট) তলপেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে তার কাছে যান সাধনা। এই অসুস্থতার জন্য তিনি ১৫ দিন তাকে রেস্টে থাকতে হবে এই মর্মে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট দাবি করেন।
চিকিৎসক এ সময় তাকে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন, তার পেটে ব্যথা হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। যে কারণে তিনি সাধনাকে ওই সার্টিফিকেট দেননি। এ জন্য তার ওপর বেশ ক্ষিপ্ত হন সাধনা। পরে সার্টিফিকেট না পেয়ে চিকিৎসককে দেয়া ভিজিটের ৫শ’ টাকা ফেরত নেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।
Leave a Reply