(মো. নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর)
কিশোর গ্যাংয়ের মূল উৎপাটন এবং ইভটিজিং রোধ ও বখাটেদের নিয়ন্ত্রন করার লক্ষে তিনজন স্কুল ছাত্রের বখাটে স্টাইলের কাটিং করা চুল কেটে দিয়েছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
বুধবার বেলা ১০টার দিকে মুরাদনগরে স্কুল পড়ুয়া তিন বখাটেকে ধরে নিয়ে তাদের অদ্ভুত ধরনের চুলের কাটিং ও স্কুল চালাকালে স্কুলের ইউনিফর্ম ছাড়া স্কুল ব্যাগ নিয়ে নূরুন্নাহার বালিকা বিদ্যালয়ের আশে পাশে অযথা ঘোরা-ফেরা করে বখাটেপনা করার কারনে মুরাদনগর থানা পুলিশ তাদেরকে ধরে অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষকদেরকে খবর দেয়। তাদের অদ্ভুত ধরনের চুলের ধরন দেখে তাদের চুল কেটে দেওয়া হয়। বখাটে তিন ছাত্র হলো ডি আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির ছাত্র মারুফ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, ভূবনঘর হাই স্কুলের নবম শ্রেনির ছাত্র মিজান। খবর পেয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকরা এলে পুলিশ তাদেরকে সতর্ক করে দেয়। এ সময় অভিভাবকরা ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর করবে মর্মে মুচলেকা দিয়ে তাদেরকে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ আহাম্মদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন মার্জিত ভাবে চুলকেটে ও স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে স্কুলে যেতে হবে। ইভটিজিং এবং বখাটেপনা রোধ করতে ও তাদেরকে বিদ্যালয়গামী করতে এ ধরনের অভিযান চলবে।
অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ন ভাবে ভস্মীভূত হয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটায় কোম্পানীগঞ্জ বাজার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক সড়ক সংলগ্ন মাছের আড়তের পূর্ব পার্শ্বের সারির দোকান গুলোতে এই অগ্নিকান্ডে ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত এখনো জানা যায়নি।
সুত্র জানায়, রবিবার রাত সাড়ে বারোটায় উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের মাছের আড়তের পূর্বপাশ্বের সারির দোকান গুলোতে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়ে মুহূর্তেই আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে ৫ঘন্টা চেষ্টার পর ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষনে ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়। পুড়ে যাওয়া দোকান গুলো হলো, আখি এন্টার প্রাইজ (টিন দোকান), রহমান ট্রেডার্স (ভাঙ্গারী), মনির ট্রেডার্স (ভাঙ্গারী), তাজুল ইসলাম (ভাঙ্গারী), একটি মাছের আড়ৎ, একটি প্লাস্টিক সামগ্রীর দোকান, নুরুল ইসলামের দোকানসহ ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়। এসময় প্রায় কোটি টাকার মালামাল আগুনে বিনষ্ট হয়।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ, মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ আহাম্মেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল হাই খান, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন।
মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার, বিল্লাল হোসেন বলেন অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ৫ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। তদন্ত সাপেক্ষে আগুনের সুত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করা হবে।
Leave a Reply