অনলাইন ডেস্ক:
নারী সহকর্মীর সঙ্গে অসা মাজিক কা র্যকপালে লিপ্ত হওয়ার জেরে ওএসডি হলেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীর।
‘খাস কামরায়’ এক নারীর সঙ্গে অসা মাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জেরে জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।রোববার (২৫ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপ ত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে ঘটনাটি ‘সাজানো’ বলে দাবি করেন ডিসি আহমেদ কবীর। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারা দেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে আহমেদ কবীরকে ওএসডি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোববার এ বিষয়ে আদেশ জারি হবে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করা হবে।
ও এস ডি মানে হলো – “অফিসার ইন স্পেশাল ডিউটি / ওন স্পেশাল ডিউটি”
যখন কোনো অফিসার কে “ও এস ডি” করা হয় তার মানেই হচ্ছে , সেই অফিসার এর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এসেছে এবং তার কারণ বশত তাকে স্পেশাল দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই স্পেশাল দায়িত্ব কখনোই কোনো ভালো কাজের জন্য দেয়া হয় না। বরং এটাকে একরকম শা স্তি বলা চলে।সাধারণত অফিস গুলাতে এর প্রচলন আছে – কোনো কর্মকর্তা অথবা কর্মচারী , অফিস এর নিয়ম নীতি লঙ্ঘন করলে অথবা কোনো দুর্নীতির আশ্রয় নিলে এই স্পেশাল দায়িত্ব পেয়ে থাকে। তবে কোন প্রকার কাজ ছাড়াই তারা বেতন পাবে। কোন প্রকার দায়িত্ব ছাড়াই সরকারি সকল সুবিধা পাবে এই ডিসি।
এই দায়িত্বের আওতাধীন কাজ গুলা হয় ভীষন ক ষ্টসাধ্য এবং বি রক্তিকর । । আর এই জন্যই শাস্তি দেবার জন্যই এই দায়িত্ব দেয়া হয়।একটা নির্দিষ্ট সময় পরে ওই দায়িত্ব থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে আগের স্থানে ফিরত নিয়ে আশা হয় অথবা তাদের অপসারণ করা হয় মানে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
Leave a Reply