(বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর, কুমিল্লা )
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাইয়ে বাস – সিএনজি -মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮জন নি হত হয়েছে। আজ দুপুর ১ টার দিকে লালমাই উপজেলার জামতলি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলেই ৭জন নি হত ও গুরুতর আহত ১জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। গুরুতর রিপাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লালমাই হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লাকসামগামী তিশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও লাকসাম থেকে কুমিল্লা গামী সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশা লালমাই উপজেলার জামতলী এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এসময় অটোরিকশায় থাকা দুই নারী ও শিশুসহ ৮জন নি হত হয়। এ ঘটনায় আহত আরো এক যাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা নগরীর হোটেল ব্যবসায়ী ও জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের ঘোড়াময়দান গ্রামের আবদুল জাব্বারের ছেলে জসিম উদ্দিন (৪৮), তার স্ত্রী শিরিন আক্তার (৪০) মা ছকিনা বেগম (৬৫), ছেলে শিপন (১৯), হৃদয় (১৬), মেয়ে নিপু (১২), কাজের ছেলে একই উপজেলার করপাতি গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সাইমুন (১৪) ও করপাতি গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক জামাল উদ্দিন (২৯)।
নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন নিহত জসিমের চাচাতো ভাই নাছির উদ্দিন। তিনি আরো জানান, ঈদের ছুটি কাটিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে কুমিল্লা নগরীতে ফিরছিলেন জসিম। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনার শিকার তারা।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ নুরুল ইসলাম, জেলা হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ও লালমাই থানার ওসি বদরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লালমাই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জিয়াউল চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের ম রদেহ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ী দু’টিও উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডউচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের পর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের সংখ্যা ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ৯ হাজার ৫৫৪ শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল। তার মধ্যে ২৩১ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়। ফেল থেকে পাস করেছে ৬১ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আছাদুজ্জামান বলেন, পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনে ৯ হাজার ৫৫৪জন শিক্ষার্থীর ২৫ হাজার ৯৫৪টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়। তার মধ্যে ফেল থেকে পাস করে ৬১ জন এবং নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। ফলে জিপিএ-৫ পাওয়াসহ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৯১জনে।
প্রসঙ্গত, ১৭ জুলাই এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পাসের হার ছিল ৭৭.৭৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ৩৭৫ পরীক্ষার্থী।
Leave a Reply