(মাহফুজ বাবু, কুমিল্লা)
র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে টিনের বেড়া ভেঙ্গে পালিয়ে যায় ধ’র্ষক সোহেল রানা(২৫)। র্যাব সিপিসি ২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার প্রণব কুমারের উপস্থিত বুদ্ধিমত্তায় আটক করা হয় মা’মলার অপর আ’সামী ধর্ষকের পিতা তাজুল ইসলাম কে। আসা’মীকে ধরতে কৌশ’লের আশ্রয় নেন তিনি।
সোহেলের পরিবারও ছেলে ও মেয়ের বিয়ে করানোর জন্য বলতে থাকে। ধর্ষ’কের পরিবারকে বলা হয় ঠিক আছে, বিয়ে হলে ঝামেলা শেষ। চলতে থাকে অভিনয়, র্যাব কর্মকর্তাদের। ডাকতে বলা হয় কাজী ও হুজুরকে। মিষ্টি আনানো হয় বাজার’ থেকে, চলে চা ও মিষ্টি মুখ। কনে সাজানোর আয়োজন চলতে থাকে। এভাবে দীর্ঘ ৪ঘন্টা পর পরিবার আশ্বস্ত হলে ভারত সীমান্তের ছয়গ্রাম থেকে বিয়ের করানোর জন্য গাড়ি পাঠিয়ে আনা হয় জামাইকে।
ধর্ষ’ক সোহেল রানা বাড়িতে আসার পরই পাল্টে যায় পরিবেশ। রুদ্র মুর্তি ধারন করে র্যাব সদস্যরা। বি’য়ে অফিসে নিয়ে পড়ানো হবে বলে আটক হয় ধ’র্ষক সোহেল কে। আসামীকে গাড়িতে তুলেই রওয়ানা হন র্যাব কার্যালয়ের দিকে।
অবশেষে কুমিল্লায় র্যাবের সফল অভিযানে ধ’র্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ সোহেল (২২)কে গ্রেফ’তার করা হয়েছে। সে বুড়িচং উপজেলার পয়াত গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র ।৪ ঘন্টা পর মঙ্গলবার রাত দেড়টায় পয়াত গ্রামে বিশেষ অভিযানে ধ’র্ষকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব ১১ সিপিসি-২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার প্রণব কুমার জানান, সোহেল কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার স্থায়ী বাসিন্দা। সে দীর্ঘদিন ধরে কিশোরী মেয়েদেরকে বিয়ের প্রলো’ভন দেখিয়ে ধ’র্ষণ করে মোবাইল ফোনে ধর্ষ’ণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখত যা দিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে উক্ত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভ’য় দেখিয়ে একাধিকবার ধ’র্ষণ করত।
গ্রেফতারকৃত আসা’মীর বিরু’দ্ধে জেলা নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-২, কুমিল্লা এর আদালতের কোর্ট পি’টিশন মামলা ও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় নারী ও শিশু নির্যা’তন দমন আইনে মা’মলা দায়ের হয়েছে।
র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ দল তার উপর গোয়ে’ন্দা নজরদারী চালিয়ে তাকে গ্রেফ’তার করে। গ্রেফ’তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply