অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার লাকসামে ২৫০পিচ ইয়া’বাসহ দেবর-ভাবীকে আটক করে পুলিম। শনিবার (২৭ জুলাই)সন্ধ্যায় পৌরশহরের গাজীমুড়া এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আ’টক করে। আটকৃতরা হলো আরমান হোসেন আজাদ (২৫)। সে পৌরশহরের গাজিমুড়া গ্রামের মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে ও মাদক বিক্রেতা মুরাদের ছোট ভাই। বিলকিছ আক্তার মুন্নি (৩২) একই গ্রামের মুরাদের স্ত্রী । তারাসর্ম্পকে দেবর-ভাবি ।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, লাকসাম পৌরসভার গাজিমুড়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত মোবারক হোসেনের বড় ছেলে মা’দক সম্রাট আরাফাত হোসেন মুরাদের স্ত্রী বিলকিছ আক্তার মুন্নি ও ছোট ভাই আরমান হোসেন আজাদ বহুদিন ধরে গোপনে মা’দকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। ই’য়াবা বিক্রির সংবাদ পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের এস আই জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে তাদের বসত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আজাদ ও মুন্নির কাছ থেকে ২৫০ পিচ ই’য়াবাসহ তাদের আটক করে।
রবিবার (২৮ জুলাই) তাদেরকে মা’দকের মামলায় কুমিল্লার আদালতের প্রেরণ করা হয়। লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
কুমিল্লায় হারাচ্ছে হরেকরকম দেশীয় মাছ
অনলাইন ডেস্কঃ
কুমিল্লা জেলায় দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ। এখন আর খাল-বিল ও নদীতে আগের মতো দেশীয় মাছ পাওয়া যায় না। জেলেরা দিনভর মাছ ধরার নানা কৌশল ব্যবহার করলেও ফিরতে হয় খালি হাতে। তাই হতাশ হয়ে অনেকে এ পেশা থেকে সরে যাচ্ছেন। খাল-বিল, জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়া আর জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে এসব মাছ কমে যাচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয় জেলেরা। তবে পরিবেশবিদদের মতে, জলাশয় কমার পাশাপাশি রাসায়নিক সার আর নানা প্রতিবন্ধকতার কারণেও দেশীয় মাছ দিনদিন কমে যাচ্ছে।
কুমিল্লা জেলায় বছরে এখন দেশীয় প্রজাতির দুই লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়, যা আগের তুলনায় অনেক কম। তবে মাছ উৎপাদন বাড়াতে সরকার বর্তমানে নানামুখি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যার সুফল পেতে অধীর আগ্রহে আছে এ জেলার মানুষ। কুমিল্লা জেলায় গোমতীসহ বেশ কয়েকটি নদীর পাশাপাশি রয়েছে খাল-বিল ও জলাশয়। এসব জলাশয়ে একসময় দেশী প্রজাতির শিং, মাগুর, বোয়াল, কই, টাকি, টেংরা, মলা, মেনি, পুটি, শোলসহ প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া যেত।
জলাশয়ে ধর্মজাল, ছিটা জালসহ নানাভাবে জেলেরা মাছ ধরতো। এখনো জেলেরা এসব দিয়ে মাছ ধরতে গেলেও ফিরে আসে খালি হাতে। তাই বাজারগুলোতেও দেশীয় মাছের আকাল দেখা যায়। খাল-বিল ও জলাশয়ে পানি থাকলেও মাছের দেখা মিলে না। জেলার মৎস কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, জেলেরা জীবিকার তাগিদায় কারেন্ট জাল ব্যবহার, বাঁশের বেড়াসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে মাছের পোনা ধ্বংস করছে।
এসবের ব্যবহার কমাতে জেলেদেরকে ভর্তুকি দেয়ার পরামর্শ দেন দেওয়া হয়। কুমিল্লা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ আকন্দ জানান, দেশীয় প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ জলাশয় ভরাট। এছাড়াও মা মাছের প্রজনন ও বেড়ে উঠার জায়গার স্বল্পতাও অন্যতম কারণ।
Leave a Reply