অনলাইন ডেস্কঃ
কুমিল্লায় কাঁচা মরিচ খেতে হলে দিতে হবে ২০০ টাকা। এই মাসের প্রথম সাপ্তাহে ও ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো কাঁচা মরিচ।
এছাড়াও আলু, লালশাক, কাঁচা কলা ছাড়া বাজারে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার শহরের রাজগঞ্জ ও কান্দিরপাড় নিউ মার্কেট কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি করলা ৭৫টাকায়, পটল ৪৫টাকায়, ঢেঁড়স ৪৫টাকায়, বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, টমেটো ৮৫ টাকায়, কাকরোল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, দেশি শসা ৭০ টাকায়, মারপা শসা ৬০ টাকায়, গাজর ৬০ টাকায়, কচুর লতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, লাউ (প্রতি পিস) ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, ধুন্দুল ৫০ টাকায়, কইডা ৫০ থেকে ৫৫টাকায়, কাঁচা মরিচ ১৭০ টাকায়।
এদিকে শাকের মধ্যে প্রতি মুঠো পুঁইশাক ৪০ থেকে ৫০টাকা, লালশাক ৩০টাকা এবং পাটের শাক ৩০ টাকায় ধরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজগঞ্জ বাজারে সবজি কিনতে আসা মাজহারুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, সবজি কিনতে এসে দেখি, তিন থেকে চারটি বাদে প্রায় সব সবজির দাম ৪৫ টাকার ওপরে। গত ১৫দিনে কোন পণ্যের দাম বাড়েনি সেটা খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এভাবে দাম বাড়লে আমরা কোথায় যাবো।
রাজগঞ্জ বাজারের সবজি বিক্রেতা কবির হোসেন জানান, দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা, পাহাড়ি ঢল এবং অতি বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে আগের মতো সবজি আসছে না। আমরাও চাহিদামতো আড়তদারদের কাছে সবজি পাচ্ছি না। সবজির দাম বেশি হলে কী হবে, আমাদের তো লাভ নাই। বেশি দামে কেনা বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
কুমিল্লা জেলা ভোক্তা-অধকিার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব প্রকার সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টা আমাদের নজরেও এসেছে। পাইকারি ব্যবসায়ী এবং নগরীর কয়েকটি বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতাদেরে সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন বন্যা এবং অতি বৃষ্টির কারণে সবজি নষ্ট হয়েছে। যার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি তারা পাচ্ছেন না। সেই কারণে হঠাৎ করে সবজির বাজার পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও আমরা তদন্ত করছি কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ব্যক্তি দাম বাড়ার ক্ষেত্রে জড়িত রয়েছে কি না। আমাদের বাজার মনিটরিং সব সময় অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply