অনলাইন ডেস্ক;
জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশংসনীয় অবদান রাখায় দলগত শ্রেণীতে দলনেতা হিসেবে জনপ্রশাসন পদক পেলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর। সেই সাথে এই পদক পেয়েছেন কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন ডা: মো: মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মাঈন উদ্দিন।
মঙ্গরবার (২৩ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে ১১ ব্যক্তি, জেলা পর্যায়ে ৩৪ ব্যক্তি এবং উভয়পর্যায়ে একটি করে প্রতিষ্ঠানকে এ বছরের জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা জেলার প্রায় দুই লক্ষ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়,ডাটাবেইস প্রস্তুত ও ‘ব্লাড লিংক’ কুমিল্লা’নামক অ্যাপস তৈরী এবং জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের রাখায় এই পদক দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বেলা ৩টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জনসেবায় আস্থা অর্জনকারী এসব কমকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে পদক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্র্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আশিকুর রহমান চৌধুরী ও জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহাম্মদ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে সরকার এ পদক চালু করেছে। এদিকে মঙ্গলবার ২৩ জুলাই পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে সোমবার বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বল্প ব্যয় ও অল্প সময়ে সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্ভাবনী ধারণাকে কাজে লাগিয়ে সেবা সহজীকরণের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জনপ্রশাসন পদক-২০১৯’ প্রদান একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ পদক প্রদান প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত সব পর্যায়ের কর্মচারীদের জনগণকে উন্নত সেবা প্রদানে আরও উৎসাহিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, একটি দক্ষ, প্রযুক্তিনির্ভর ও সময়োপযোগী কার্যকর জনপ্রশাসন গড়ে তোলার মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা। সরকারের নির্বাহী অঙ্গের অংশ হিসেবে পাবলিক সার্ভিসে নিয়োজিত কর্মচারীরা জনগণের সেবা ও কল্যাণে তথা দেশের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এই পদক পাওয়ায় বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস), কুমিল্লা জেলা শাখা এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। তারা বলেন, আমরা কুমিল্লা জেলাপ্রশাসনের সকল কর্মচারী অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।
Leave a Reply