অনলাইন ডেস্ক:
পরকীয়ার প্রেমের টানে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন দুলাভাই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠি গ্রামে।
জানা গেছে, চাঁদকাঠি গ্রামের সেকান্দার আলী হাওলাদারের ছেলে মোটর বাইক চালক ইমরান হোসেন তিন বছর আগে পার্শবর্তী ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর ভেদুরিয়া গ্রামের সেরাজ উদ্দিন চৌকিদারের মেয়ে রুনু বেগমকে (১৮) বিয়ে করে। তাদের সংসারে আব্বাস নামের ৯ মাসের এক সন্তান রয়েছে।
বিয়ের দুই বছর পর আপন শ্যালিকা ও স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী খালেদা আক্তার মিমের (১৪) সঙ্গে দুলাভাই ইমরানের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এ সম্পর্ক গোপন থাকলেও একপর্যায়ে তা আর গোপন থাকেনি। ৫ মে স্ত্রী রুনু বেগমকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায় ইমরান হাওলাদার।
দুই দিন সেখানে বেড়ানোর পর আপন ছোট শ্যালিকা খালেদা আক্তার মিমকে নিয়ে তিনি পালিয়ে যান । ১৪ দিন বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকার পর শনিবার শ্যালিকা মিমকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদকাঠি চলে আসেন ইমরান হাওলাদার। স্ত্রী থাকতে তার আপন বোনকে বিয়ে করা নিয়ে শুরু হয় বিপত্তি। গ্রাম্য কয়েকজন মাতব্বরের পরামর্শের পর ওই দিন রাতে সালিশ বৈঠক বসে স্থানীয় ইউপির মেম্বার বারেক হাওলাদারের বাড়িতে।
মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এ সালিশ বৈঠক। সিদ্ধান্ত হয় শ্যালিকাকে বিয়ে করতে হলে স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে। এরপর ইমরান দীর্ঘদিনের সংসার জীবন ও সন্তানের ভালবাসা ত্যাগ করে স্ত্রী রুনুকে তালাক দেন। বিয়ে করেন শ্যালিকা মিমকে। এ সালিশ বৈঠকে রুনু বেগম ছাড়াও তার দুই ভাই ও বেশ কয়েকজন স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ওই রাতেই ৯ মাসের শিশু আব্বাসকে ছোট বোন মিমের কাছে রেখে রুনু বেগম ভাইদের সঙ্গে বাবার বাড়ি চর ভেদুরিয়া চলে যান। তখন এক বেদনাবিধুর পরিবেশের সৃষ্টি হলেও পাষন্ড স্বামী ইমরান ও শ্যালিকা মিম একটুও অনুতপ্ত ছিলেন না।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য বারেক হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা রাতে আমার বাড়িতে আসেন, বিষয়টি অমানবিক হওয়ায় আমি সালিশ করতে সম্মত না হওয়ায় তারা আমার বাড়ি থেকে চলে যান।
Leave a Reply