(মাহফুজ বাবু; কুমিল্লা)
নিখোঁজ জিডির সুত্র ধরে দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশের চৌকস এসআই শাহিন কাদিরের তদন্তে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য এবং বস্তাবন্দি লাশ!! উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার ও ফোন ট্রেকিং এর মাধ্যমে ফাঁড়ি পুলিশের গত ৫ দিনের নিরলস চেষ্টায় কুমিল্লা বুড়িচংয়ের মোকাম মনিপুর এলাকার পঞ্চাশোর্ধো নারায়ণ চন্দ্রের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয় আজ ভোররাতে বরুড়া উপজেলার গোহালিয়া বড়হাতুয়া গ্রামের বাজারের পশ্চিমে রাস্তার পাশের একটি ঝোপ থেকে।
নিহতের ছোট ভাই জানায়, গত ১৭ জুন দুপুরে ফোন পেয়ে কাবিলা মনিপুরের শিলবাড়ীর নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় নারায়ন। এরপর একই দিন রাত থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বহু খোজাখুজির পর তাকে না পেয়ে ১৯তারিখ থানায় জিডি করে নিহতের পরিবারের লোকজন।
নিহতের কন্যা ও পরিবারের অভিযোগ, সুমির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো নারায়নের। সম্ভবত পরোকিয়া সম্পর্কের জেরে তার অর্থ আত্মসাৎ করতেই এ হত্যাকান্ড। তারা আরো জানায়, গত কিছুদিন আগে নারায়ন ১৭ লক্ষ টাকার জমী বিক্রি করে। সেখান থেকে ৬ লক্ষ টাকা সুমিকে ধার দেয়। সেই টাকা আত্মসাৎ করতেই নারায়ন শীল কে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুমের চেষ্টা করে করে। সন্দেহভাজন হত্যাকারীরা হলো চান্দিনা উপজেলার পিহর গ্রামের হর গোবিন্দের মেয়ে উর্মিল্লা চক্রবর্তী (সুমা) (৩২) ও তার ভাই শংকর (২৮) সহ তাদের সহোযোগিরা।
দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশের এসআই শাহিন কাদির জানায়, মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে সন্দেহভাজন আসামীদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। এরপর গতকাল বুড়িচংয়ের মোকাম এলাকার আমির মাষ্টারের ভাড়া বাড়ি থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী সুমা ও শংকর নামের দুজন কে আটক করা হয় । আটকের পর থেকে একেক সময় একেক রকম তথ্য দিতে থাকে দুজনে। একপর্যায়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বুধবার শেষরাতের দিকে আসামীরা নারায়নের কথা স্বীকার করে। পরে তাদের নিয়ে লাশ উদ্ধারে রওনা হয়ে আসামীদের দেখানো এলাকার একটি ঝোপ থেকে ভোরে নিখোঁজ নারায়নের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং আসামীদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞেসাবাদ করলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। এ বিষয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply