(শরীফ আহমেদ মজুমদার, নাঙ্গলকোট )
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মাহমুদা আক্তার নামের এক গৃহবধুকে শ্বশুর, ঝাঁ ও প্রতিবেশি কর্তৃক নির্যাতন করে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার রাতে উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের কুকুরীখিল গ্রামের উত্তর পাড়া আবুল খায়েরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে বাপের বাড়িতে পাঠায়।
এঘটনায় সোমবার গৃহবধু বাদি হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের কুকুরীখিল গ্রামের আবুল খায়েরের বড় ছেলে হুমায়ুন কবিরের সাথে গত ১৪ বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী উত্তর মাহিনী গ্রামের মাহবুবুল হকের মেয়ে মাহমুদা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুখেই চলছিল তাদের সংসার। এর মধ্যে মাহমুদা আক্তাদের স্বামী হুমায়ুন কবির বাড়িতে দালান ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল। গত ৫বছর থেকে মাহমুদা আক্তরকে তার শ্বশুর আবুল খায়ের ও ঝাঁ শহিদা বেগম বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালায়।
রবিবার রাতে শ্বশুর আবুল খায়ের, ঝাঁ শহিদা ও প্রতিবেশী মানিক, মিন্টু, আব্দুল হান্নান, ফরিদ মাহমুদা আক্তারকে নির্যাতন করে টানা-হেঁচড়া করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে সে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।এব্যাপারে মাহমুদা আক্তার বলেন, তার স্বামী হুমায়ুন কবির সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন।
দীর্ঘদিন থেকে তার শ্বশুর আবুল খায়ের ও ঝাঁ শহিদা বেগম ওই বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার জন্য বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। গতকাল রাতে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিলে পুলিশ উদ্ধার করে আমার বাপের বাড়িতে পাঠায়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আবুল খায়ের মুঠোফোনে বলেন, রাতে পুলিশ আসার পর তাদের কাছে বক্তব্য দিয়েছি। সাংবাদিকদের কাছে কোন বক্তব্য দিব না।এবিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি (তদন্ত) আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, গৃহবধু মাহমুদা আক্তার নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কারণে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তার পিতার নিকট হস্তান্তর করে।
Leave a Reply