অনলাইন ডেস্ক:
‘অবাক হচ্ছে বিশ্ব এবার, বাংলার শিশুরা প্রোগ্রামার’ এ শিরোনাম কে সামনে রেখে প্রতিযোগিতার আয়োজক হিসেবে ভূমিকা পালন করছে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, ইয়াং বাংলা ও সি আর আই। সি,আর,আই এর জেলা প্রতিনিধি “আরিফুর রহমান চৌধুরী” জানান দেশের ৬৪ জেলার নির্ধারিত ২শ’র ও অধিক শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে শুরু হয় কর্মশালা ও জেলা ভিত্তিক প্রতিযোগিতা।
“স্ক্রেচ” ও “পাইথন” এই দুইটি ক্যাটাগরিতে অন্যান্য জেলার মত অংশ নিচ্ছে কুমিল্লা জেলার প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে আসা শিক্ষার্থী’রা জানায় তারা আগে কার্টুন দেখতো ও গেইমস খেলতো কিন্তু এখন তা কিভাবে তৈরি হয় সেটা জেনেছে। তারা অারো জানায় ” ডিজিটাল বাংলাদেশ” তৈরির ক্ষেত্রে তারা অবদান রাখতে চায়। এমন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে অনেক কিছু শিখতে পেরেছে ও খুব আনন্দিত।
জেলা পর্যায়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ‘স্ক্র্যাচ’ প্রশিক্ষণ কর্মশালার মধ্য দিয়ে গত ১৫ জুন থেকে সারাদেশে একযোগে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা কার্যক্রম শুরু হয়। কুমিল্লা জেলায় গত সোমবার (১৭ জুন),প্রতিযোগিতায় ক্ষুদে প্রোগ্রামারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্ক্র্যাচ’ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।
পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হয় দু’দিন ব্যাপী “পাইথন প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ”। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ১০ টায় কুমিল্লার তিনটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে একযোগে এই প্রশিক্ষন শুরু হয়। উক্ত ল্যাব গুলো কুমিল্লা জেলার সনামধন্য বিদ্যালয় গুলোর। বিদ্যালয় গুলো হলো কুমিল্লা জিলা স্কুল, পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়,
এবং কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল।
৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাইথন জুনিয়র এবং ৯ম-১০ম শ্রেণি ও সদ্য পাস করা এসএসসি পরীক্ষার্থীরা পাইথন সিনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিচ্ছে। এবারই প্রথম “পাইথনে ” অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে সদ্য এসএসসি পাসকৃতদের। ২০ই জুন অনুষ্ঠিত হবে পাইথন জেলাভিত্তিক চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।
জেলার বিজয়ী ক্ষুদে প্রোগ্রামারা ঢাকায় জাতীয় প্রোগ্রামিং কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে। এবং সর্বশেষ বিজয়ী’রা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply