(মো. তপন সরকার,হোমনা )
কুমিল্লার হোমনায় জালাল মিয়া(২৩) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে স্কুল ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । সে ওই গ্রামের মুফতি নুরুজামান এর ছেলে ।গত সোমবার হোমনা পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডের বাগমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক জালাল মিয়া সহ তার ভাই ও পিতাসহ ৪ জনকে আসামী করে হোমনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সালেহ(১৮) নামের এক আসামিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাগমারা গ্রামের নুরজ্জামানের ছেলে জালাল মিয়া বাগমার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ছাত্রীটি বাড়িতে ফিরতে দেরি দেখে তার মা এসে তার সহপাটিদের সহযোগীতায় জালাল মিয়ার বাড়ির দোতালা থেকে তাকে উদ্ধার করে। হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় । সোমবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে হোমনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৮,তারিখ-১৭/৬/১৯ ইং । এ ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। এ দিকে গ্রামবাসির উদ্যোগে আসামী গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাগমারা বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে হোমনা থানা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক আবদুস সালাম ভূইয়া,স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল হোসেন, আ’লীগ নেতা আঃ আউয়াল, কবির হোসেন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ (মেরী) ঢাকা জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অবস্থান করছেন। তার নির্বাচনী এলাকার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের খবর পেয়ে তার ফেইসবুক আইডি থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ধর্ষকসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছে কোন নারী নির্যাতনকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এছাড়া হোমনা -তিতাস উপজেলাকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ,দুর্নীতিমুক্ত মাদক মুক্ত করে গড়তে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি। সকলের সহযোগীতা পেলে অপরাধিদের বিতারিত করার ঘোষনা দেন । কারা অপরাধীদেরকে সহযোগিতা করছে এখন আমাদের সময় এসেছে তাদেরকে চিহ্নিত করা। যে অন্যায় করে তার সাথে যারা সহযোগিতা করে তাদেরকে একই কাতারে নিয়ে আসতে হবে তাই সবাইকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি। এ ছাড়া ইউএনও আজগর আলী, ওসি সৈয়দ মো.ফজলে রাব্বী, পৌর মেয়র এ্যাড. নজরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাছিমা আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসামী গ্রেফতারের আশ্বস্ত করেন। এ ব্যপারে হোমনা থানার ওসি সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী জানান, ওই ছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সালাহ নামের মামলার এক আসামীকে আটক করা হয়েছে বাকী আসামীদের ধরার জন্য পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানান।
Leave a Reply