নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা মুরাদনগরে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষক জেলে।এক প্রভাবশালী কুচক্রী মহল ভিকটিম ও তার বাবাকে হুমকি-ধমকি মারধর করে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে সাত মাস পর ভিকটিমের পিতা গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করে। ভিকটিমের পিতা মামলা করতে কালক্ষেপন করানোয় ও তাদেরকে মারধর করার কারনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছে। মুরাদনগর থানা পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে কুমিল্লা কোর্টে চালান করেছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ডি আর এস উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির এক ছাত্রী(১৫) কে গত বছরের ১৯অক্টোবর শুক্রবার সকালে জে এস সি পরিক্ষার সাজেশানের প্রলোভন দেখিয়ে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হানিফ কামাল্লা বাজারের কবির আহাম্মদের বিল্ডিংয়ের দোতালায় তার প্রাইভেট পড়ানোর কক্ষে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে এবং গত প্রায় এক মাস যাবৎ ভিকটিম কে স্কুলে আসতে বাধা দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার খান এমন অভিযোগ করেন ভিকটিমের পরিবার।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার বলেন মেয়েটি প্রবাসী এক ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে এজন্য একজন চরিত্রহীন ছাত্রী আমার স্কুলে রাখবনা সে থাকলে আমার বাকী ছাত্র ছাত্রী গুলি খারাপ হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ভিকটিম ও তার পিতা আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে বিষয়টি গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে বিচার করে দিবে বলে কালক্ষেপন করতে থাকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার খান সহ একটি প্রভাবশালী কুচক্রীমহল।
এ মহলটি গত ৬মে ভিকটিমের পিতাকে হুমকি ও মারধর করলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ৭মে এ বিষয়ে কামাল্লা পূর্বপাড়া গ্রামের ভিকটিমের পিতা আবুল হাসেম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শিক্ষক আবু হানিফের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
একই দিনে আইনের আশ্রয়নিতে কালক্ষেপন করানোর কারনে ও ভিকটিমের পিতাকে মামলা করতে বাধা দেওয়া সহ হুমকি ও মারধর করার কারনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার খানের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় সাধারন ডাইরী করা হয়েছে।
গত বুধবার আদালতে ভিকটিম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্ধি দিয়েছে। আদালত ভিকটিমের মেডিকেল চেকআপ করার নির্দেশ প্রদান করেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা জিডিটি তদন্ত করার জন্য মুরাদনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি এ কে এম মঞ্জুরুল আলম জানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষক আবু হানিফকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক বাশার খানের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
Leave a Reply