অনলাইন ডেস্ক:
দৈনিক আমাদের কুমিল্লার জেনারেল ম্যানাজার সবার প্রিয় মোশারফ ভাই আর নেই। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় কুমিল্লা টমছমব্রিজ ডি এইচ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। দৈনিক আমাদের কুমিল্লার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহাজাদা এমরান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ মঙ্গলবার বাদ আসর পশ্চিম বাগিচাগাঁও (সরকারী প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন) জামে মসজিদে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
মোশারফ ভাইয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সংবাদিক কামাল উদ্দিন বলেন, ১৯৯২ সাল। কুমিল্লায় তখন এতো দৈনিক পত্রিকা ছিল না। ছিল না কালার। দৈনিক রুপসী বাংলা ও দৈনিক পুর্বাশার সাথে বাজারে আসে কুমিল্লা বার্তা।
রানীরবাজার সংলগ্ন বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় নেয়া হয় অফিস। নগরীর অশোক তলার সমবায় অফিসের পেছনে তখন লেটার প্রেসে পত্রিকাটি প্রিন্ট হতো। এর সম্পাদক ও প্রকাশকের দায়িত্বে ছিলেন প্রয়াত অধ্যক্ষ মফিজুর রহমান। বার্তা বিভাগের প্রধান ছিলেন বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাক এর কুমিল্লা প্রতিনিধি মোঃ লুৎফুর রহমান।
আমি তখন এ পত্রিকায় লুৎফুর ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় দেবিদ্বার প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করি। পরে ১৯৯৩ সালের শেষ দিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তির পর এতে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করি। সদ্য প্রয়াত মোশাররফ ভাই ওই পত্রিকার প্রকাশনা চালু থাকা পর্যন্ত বাণিজ্যিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি যোগদেন দৈনিক আমাদের কুমিল্লায়। ওই দুই পত্রিকায় দায়িত্বপালনকালে তার সাথে সকলের ছিল ভাল সম্পর্ক।হাসিমাখা মুখে সবার সাথে কথা বলতেন।
সাংবাদিক খালেদ সাইফুল্লাহ জানান,মফস্বলের একটা পত্রিকা কিভাবে বের হয় তা ক’জন জানে। কত নিবিড়ভাবে লেগে থাকতে হয়। মোশাররফ ভাই তেমনই একজন ব্যক্তি যিনি কখনও সংবাদ সম্মেলন কিংবা নির্বাচন কাভারাজে আসতেন না। পত্রিকার প্রকাশনার পেছনের মানুষ। সবশেষ কাজ করতেন দৈনিক আমাদের কুমিল্লায়। কুমিল্লার বার্তা ও রূপসী বাংলায়ও কাজ করেছেন।
নিরহংকারী শান্ত এই মানুষটি আজ চলেন গেলেন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিওন।
রনি ভাইয়ের পত্রিকা প্রকাশের আগ্রহটা এবার আরও থেমে যাবে। সেদিন বলছিলেন মোশাররফ ভাইয়ের কথা বলেছি, তুমিসহ বসবো আবার। আমাদের কুমিল্লায় যখন যেতাম তখন প্রায়ই কুশল বিনিময়ের পর তাকে নীরবে কাজ করতে দেখতাম। আল্লাহ রাহমানুর রাহীম তাকে ক্ষমা করে দিন। পরিবার ও স্বজনদের শোক সইবার শক্তি দিন। আমিন
Leave a Reply