(অমিত মজুমদার,কুমিল্লা)
কুমিল্লা নগরীর মর্ডাণ স্কুলের পাশে অবস্থিত ” মডার্ন চটপটি এন্ড স্ন্যাকস ” নামক একটি রেস্টুরেন্টে শিশু কর্মচারী কে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ইতিমধ্যে সেই নির্যাতনের কিছু ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এই নিয়ে চলছে ব্যাপক তোলপার।মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শিশুটিকে রেস্টুরেন্টের কয়েকজন ব্যক্তি অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা
করলে তাকে টেনে এনে আবারও মারধর করা হয়।শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও নির্যাতন চলতেই থাকে।এ সময় রেস্টুরেন্টের অবস্থানরত কাস্টমাররা বাঁধা দিতে গেলে তাদের সাথেও বাকবিতন্ডা হয়। স্থানীয়রদের ধারণা টাকা নিয়ে গড়মিলের কারণে তাকে মারধর করা হয়।
সায়মা খান নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী কিছু ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট করেন। পোস্টের লেখাটি পাঠকদের জন্য সরাসরি তুলে ধরা হলো:
আজ অনেক দিন পর ” মডার্ন চটপটি এন্ড স্নেকস ” গেলাম প্রত্যেকবারই সার্ভিসিং এ একটি ছোট বাচ্চা থাকে। আজ আমি আর আমার ফ্রেন্ড তাদের যা দেখলাম ছবি না
তুলে পারলাম না। তাদের সার্ভিসিং এত লোক থাকার শর্তে বাচ্চা দিয়ে কাজ করায়।একজন বয়স্ক কর্মচারী আজ বাচ্চাটাকে গ্রেট থেকে টেনে এনে কাস্টমারদে সামনে
মারধর করল,একজন ভদ্র লোক এসে বাচ্চাটাকে বাচালো, লোকটি যখন বলো যে বাচ্চাকে মারা উচিত হয়নি উনারা তর্ক করা শুরু করল। আমি যখন বাচ্চাটাকে পানি দেওয়া কথা বলাম, বাচ্চাকে ধমক দিয়ে ভিতরে পাঠায় দিলো। এ হলো তাদের অবস্থা।” মডার্ন চটপটি এন্ড স্নেকস” ব্যবসায়ে মালিক যিনি আপনি যদি শিক্ষিত হন তাহলে অবশ্যই জানেন, “শিশু শ্রম অপরাধ “।
ফেসবুক পোস্টে সাদিয়া রিয়া নামে কমেন্ট করে জানান, উনারা প্রায়েই এ বাচ্চার সাথে খারাপ আচরণ করে। আমি কয়েকবার দেখেছি। আজকে এই ভাবে মারল।ছিঃ ছিঃ
রোকেয়া জামান নিশাত নামে একজন মন্তব্য করেন, এই বাচ্চাটাকে নাকি নীল টিশার্ট পড়া লোকটা নাকি মাঝে মাঝেই মাথায় হাত দিয়ে মারে আর থাপ্পর দেয়। আমার বোন বলছিল।
নাহার তিশা নামে মন্তব্য করেন, জীবনে একবার গেয়েছিলাম ফেন্ডরা মিলে। ব্যবহার খারাপ করেছিল। তারপর থেকে আর যাই না।
ছবি পোস্টকারী সায়মা খান জাগো কুমিল্লা ডট কমকে জানান, শিশু দিয়ে কাজ করানো এমনিই অপরাধ। তারপরও যদি একটি শিশুকে এমন ভাবে মারধর করা হয় তা খুবই দুঃখজনক। নির্যাতনের সময় কাস্টমাররা বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও অপমান করা হয়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। শিশু নির্যাতনকারীদের শাস্তি না হলে এমন ঘটনা আরোও ঘটবে।
এ বিষয়ে মডার্ন চটপটি এন্ড স্ন্যাকস এর সত্ত্বাধিকারী সুমন জানান, টাকা চুরির অভিযোগে স্টাফদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। তখন আমি ছিলাম না। তাকে মারধর করা হয়নি, ভয় দেখানো হয়েছে।
Leave a Reply