স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লা নগরীর নেউরায় সড়কের উপর পশুর হাট বসানো হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচল করা ১১টি গ্রামের বাসিন্দা ও ইপিজেডে কর্মরত কয়েক হাজার শ্রমিক।বাজারটি মূল সড়কে হওয়ায় ঢুলিপাড়া, নেউরা, রাজাপাড়া, নোয়াপাড়া, দিশাবন্দ, লইপুরা, দয়াপুর, লক্ষীনগর গ্রামের মানুষের শহরে প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি হয়। এ সড়কটি রাজগঞ্জ যাতায়াত, ইপিজেড প্রবেশ, সদর দক্ষিণ উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণ অফিস ও কুমিল্লা মেডিকেল যাতায়াতের বিকল্প সড়ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়
রোববার বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,ঢুলিপাড়া,রসুলপুর ও নেউরা গ্রাম মিলিয়ে সড়কের দুই পাশে পশুর হাট বসানো হয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ পশুর হাটের অনেক স্থানে রাস্তা জুড়ে গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিক্রেতারা। এতে পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েন। এদিকে বাজারের প্রবেশ পথে সড়কে বাঁশ ফেলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। হাট পরিচালনাকারীদের পক্ষ থেকে মাইকে বলা হয় বাজারের ভিতর দিয়ে যাওয়া সড়কে যেনো পরিবহন প্রবেশ করতে দেয়া না হয়।
দিশাবন্দ গ্রামের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বলেন,ঢুলিপাড়ায় অটো রিকশা থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। পরে বাজারে ব্যাগ নিয়ে গরু বাজার পার হয়ে বাকী দুই কিলোমিটার পথ হেঁটে বাড়ি যাই।
সাবিনা আক্তার নামের ইপিজেডের একজন শ্রমিক জানান, ইপিজেডের পকেট গেইটের রাস্তায়ও হাট বসানো হয়েছে। তারা মানুষ ও পশুর ভিড় ঠেলে বাসায় আসতে হয়েছে।
হাট পরিচালনাকারী কমিটির সদস্য নাজমুল হাসান চৌধুরী কামাল বলেন,সড়ক চালু রাখার চেষ্টা করছি। তবু কিছু বিক্রেতা সড়কে উঠে গেছে।
সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুপালী ম-ল বলেন,সিটি কর্পোরেশন এলাকার পশুর হাট সম্পর্কে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম বড়–য়া বলেন,বাজারটিতে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন নেই। অন্য কারো থেকে লিজ নেয়া হয়েছে কিনা তা জানি না। তবে বর্জ্য পরিস্কারে আমাদের অনেক ব্যয় হবে। সড়ক দখলের বিষয়ে বলেন,সড়ক দখল করে হাট বসানো গুরুতর অপরাধ। এবিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
Leave a Reply