মোঃরুবেল হোসেন:
গত বৃহস্পতিবার (১৯শে জুলাই) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করা বহিরাগত বখাটে জুয়েলের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মানবন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুর ২ টায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনেবক্তারাবলেন, জুয়েল ও তার সহযোগিরা বিশ্ববিদ্যালয়কে তোয়াক্কাই করছেনা। গ্রেপ্তারের পরও তার সহযোগিরা মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি দিনু দুপুরে অপহরণের চেষ্টা করলেও মামলা হয়েছে যৌন হয়রানির। মানবন্ধনে শিক্ষার্থীরা এই মামলা নারী ও শিশু অপহরণ আইনে করার দাবি জানায়।
এ প্রসঙ্গে মানববন্ধনের সঞ্চালক কাজী কাউছার হামিদ জীবন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে ছাত্রী নিয়ে যাবার মত যে ধৃষ্টতা তারা দেখিয়েছে তার বিরুদ্ধে আজকে আমরা সোচ্চারহয়েছি। জুয়েলরা যদি ছাড় পেয়ে যায় তাহলে বখাটেরা আবারো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সাথে যে কোন কিছু করার সুযোগ পাবে।”মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, বখাটে জুয়েল ঐ ছাত্রীকে অনেকদিন ধরে উত্ত্যক্ত,ভয়ভীতি,হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো।বিষয়টা নিয়ে তাকে এবং তার পরিবারকে সতর্ক করেছিলো ছাত্রীর পরিবার।তাতে কোন কাজ না হওয়ায় গত বছরের ২রা আগস্ট কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় একটি জিডি করেন ছাত্রীর পরিবার।
সর্বশেষ গত ১৯ই জুলাই ঐ ছাত্রীকে তুলে নিতে ” জুয়েল ” এবং তার সহযোগী “রেজাউল করিম ” সকাল থেকে ক্যাম্পাসের মেইন ফটকের সামনে বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান নেন।দুপুর ২টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মাঠের দিকে এসে ছাত্রীকে অনুসরণ করতে থাকে।পরে মূল ফটকের সামনে আসলে সেখান থেকে ঐ ছাত্রীকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে।এই সময় ছাত্রীর বন্ধুসহ উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসে এবং তাদের ধাওয়া দিলে মূল আসামি জুয়েল কৌশলে পালিয়ে যায় এবং তার সহযোগী রেজাউলকে শিক্ষার্থীরা ধরে উত্তম মধ্যম দিয়ে মোটর সাইকেলসহ ( কুমিল্লা – ল১২-০৭৫৫ ) ভার্সিটির প্রক্টরিয়াল বডির কাছে সোপর্দ করেন।
পরে প্রক্টরিয়াল বডি মোটর সাইকেলসহ তাকে পুলিশের কাছে স্থানান্তর করেন। পরে ঐদিন ( ১৯ইজুলাই ) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় ” জুয়েলএবংতার সহযোগী রেজাউলের বিরুদ্ধে ” একটি এজাহার দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। পরবর্তীতে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের খবরটি নিশ্চিত করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, এজাহারের ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেপ্তার করে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রিপোর্ট:
Leave a Reply