(আবু সুফিয়ান রাসেল, কুমিল্লা)
প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে কুমিল্লার মানুষের জনজীবন। ঘরে-বাহিরে কোথাও যেন শান্তি নেই। সে ক্ষোভে মানুষ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝড় তুলছে।
বরুড়ার অাড্ডা থেকে কবি সবুজ ফেসবুকে লিখেছেন, গরম যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, কারেন্ট তখন জানলা দিয়ে পালায়। চান্দিনা থেকে অাল- অামিন লিখেছেন, বিদ্যুৎ যায় না, মাঝেমাঝে অাসে। কুমিল্লা সদর থেকে ইবনে তামিম নামের একজন জানিয়েছেন, ওরে গরম রে! কোথাও শান্তি নাই রে! নাঙ্গলকোট থেকে সাংবাদিক অাজিম ফেসবুকে দিয়েছেন, গরমে রিক্সা দিয়ে ঘুরতে ইচ্ছে করছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক পুলক কুমার ধর লিখেছেন, প্রচণ্ড গরম গাছের একটা পাতাও নড়ছে না কুমিল্লা শহরের বুকে। মনে হচ্ছে অভিশপ্ত একটি দিন কাটাচ্ছি।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি বদরুল হুদা জেনু ফেসবুকে এক স্ট্যার্টাসে পরামর্শ দিয়েছেন,
লোডশেডিং নাই?
লোডশেডিং আছে!!
মাননীয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন দেশে কোনো বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং নেই, অথচ বাস্তবতা হলো বিদ্যুৎ এর সরবরাহ ঘাটতি র কারণে কুমিল্লা শহরের এলাকা ভেদে চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ মিনিট ,লোডশেডিং রাখছেন কুমিল্লা বিদ্যুৎ বিতরণ কতৃপক্ষ।
লোডশেডিং আমাদের ভীষণ ভাবে স্পর্শ করে অত্যাধিক গরমের কারণে।জানিনা আর কত বছর অপেক্ষা করার পর লোডশেডিং মুক্ত হবে বাংলাদেশ।উৎপাদনের রেকর্ড করে বিদ্যুৎ এই দুরাবস্থা,গ্রাহকরা অসহায়??
পরামর্শ : যে এলাকায় লোডশেডিং করা হবে,সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই সমস্ত এলাকার মসজিদের মাইকে একঘন্টা আগে জানিয়ে দিলে গ্রাহক কিছুটা উপকৃত হবে।কেননা সামাজিক,পারিবারিক অনেক অনেক অনুষ্ঠান পূর্ব নির্ধারিত থাকে, বিদ্যুৎ না থাকার কথা আগে জানতে পারলে অনুষ্ঠান এর সময় পুন: বিন্যাস করতে পারতো।সেবা কিছুটা গ্রাহক বান্ধব করা যেতে পারে।কতৃপক্ষ দায়িত্ব নিয়ে ভেবে দেখবেন কি??
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকতাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা ফোন রিসিভ করেনি।
Leave a Reply