লিভার ইনফেকশন হয়ে মা যখন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় কাতরাচ্ছিল ডাক্তার প্রফেসর আব্দুর রব একটা কথাই বলেছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব রক্তদাতা জোগাড় করে রক্ত দেয়া যাবে তত দ্রুত রোগী ইম্প্রুভ করবে। রক্তের গ্রূপ বি-পজেটিভ, পরিমান পাঁচ ব্যাগ। আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব,পরিচিত সবাইকে ফোন দিতে থাকলাম। এক ব্যাগ ম্যানেজ হলে চার ব্যাগ বাকি থাকে, কেউ কেউ বলে কুমিল্লায় না ঢাকায় হলে ভালো হতো, কেউ কেউ বলে আজকে না কালকে।
অসহায়, নিরুপায় হয়ে ফেবুতে পোষ্ট দিলাম গর্ভধারিনী মা’র জন্যে রক্ত চেয়ে। শতশত শেয়ার, কমেন্টস কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিলোনা। ঘন্টা খানেক পর আসিফ ভাইয়ের টেক্সট ” টেনশন করবেন না ভাইজান, বি-পজেটিভ পাঁচ ব্যাগ ম্যানেজ হয়েছে। বাসার নাম্বার+হাসপাতালের ঠিকানা দেন রক্তদাতারা সময়মতো পৌঁছে যাবে। এরপর রক্ত দেয়া থেকে শুরু করে মা যতদিন হাসপাতাল ছিল ততদিন রুটিন করে মায়ের খবর নিয়েছেন। আসিফ ভাইয়ের খাতিরে রক্ত দাতারা এক গ্লাস জুস্ কিংবা পানি পর্যন্ত পান করেনি আমার বোন-ভাবী’র কাছ থেকে।
এরপর যতবারই কথা হয়েছে আমাদের “রক্তের ভাই” বলে সংবোধন করি আমি। উনি উনার ট্রেড মার্ক হাসি দিয়ে আরো বেশি আপন করে নেন। মহান প্রভুর অশেষ কৃপায় মা এখন অনেকটা সুস্থ্য। মায়ের প্রতি ওয়াক্ত নামাজের মোনাজাতে থাকে আসিফ আকবর ও নাম না জানা রক্তদাতারা।
আমি কনফিডেন্টলি বলছি,যে আসিফ মুমুর্ষ মায়ের রক্তদাতা সে আসিফ অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবেন ইনশাআল্লাহ।মায়ের দোয়া বিফলে যায়না।
………মনির খান নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডিতের দেয়া পোস্ট থেকে নেয়া
Leave a Reply