অনলাইন ডেস্ক:
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করোনা মহামারির মধ্যে সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অর্থসহ ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।
প্রণব কুমার বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩০ জন চেয়ারম্যান এবং ৬৪ জন মেম্বার (সদস্য)। তাদেরকে ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে।’
এই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে প্রণব আরো বলেন, ‘এদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে সরকারি চাল আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি, জেলেদের ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম, উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাতের মতো অভিযোগ রয়েছে।’
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে কমিশন সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ২১টি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারও প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই। ত্রাণ দুর্নীতিবাজ প্রত্যেককেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’
Leave a Reply