(তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা )
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব রক্ষায় ৫ দফা পূরণের লক্ষে আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে যোগ দিতে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখাসহ ১৬ উপজেলার প্রায় ০৫ (পাঁচ) শতাধিক নেতা-কর্মী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন- তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার। এতে জেলা শাখার পক্ষে নেতৃত্ব দিবেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি চন্দন কুমার রায়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব রক্ষায় ৫ দফা পূরণের লক্ষে আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১টায় ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে যোগদান করে সমাবেশকে সফল ও স্বার্থক করতে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা ও উপজেলা শাখার সকল নেতা-কর্মীকে অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস কুমার বকসী।
ওই ৫ দফা দাবিগুলো হচ্ছে: ১) কোন রাজনৈতিক দল বা জোট আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে এমন কাউকে মনোনয়ন দেবেন না যারা অতীতে বা বর্তমানে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বা রাজনৈতিক নেতৃত্বে থেকে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী, স্বার্থবিরোধী কোন প্রকার কর্মকা-ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে জড়িত ছিলেন বা আছেন। এমন কাউকে নির্বাচনে প্রার্থী দেয়া হলে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী সে সব নির্বাচনী এলাকায় তাদের ভোটদানে বিরত থাকবে বা ভোট বর্জন করবে। ২) যে রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রাণের দাবি ঐতিহাসিক ৭-দফার পক্ষে নির্বাচনী অঙ্গীকার ঘোষণা করবে এবং সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও অধিকার নিশ্চিতকরণে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করবে সে দল বা জোটের প্রতি সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। ৩) আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণসহ জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সংসদে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণে রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহকে দায়িত্ব নিতে হবে।
৪) নির্বাচনের পূর্বাপর ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার, মন্দির-মসজিদ-গির্জা-প্যাগোডাসহ ধর্মীয় সকল উপাসনায়কে নির্বাচনী কর্মকা-ে ব্যবহার, নির্বাচনী সভাসমূহে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান বা কোনোরূপ প্রচার নিষিদ্ধকরণের পাশাপাশি তা ভঙ্গের দায়ে সরাসরি প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলসহ অন্যুন তাকে এক বছরের কারাদ- ও অর্থদ-ের বিধান রেখে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী আইনের যুগোপযোগী সংস্কার করতে হবে। ৫) নির্বাচনের পূবেই সরকারকে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠন, বর্ণবৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন এবং পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বাস্তবায়নসহ পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
Leave a Reply