অনলাইন ডেস্ক:
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পঞ্চম আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে সাকিব আল হাসান ঝুলিতে পুরেছিলেন ১২ উইকেট। কেকেআর সেবার প্রথমবারের মতো পায় শিরোপার স্বাদ। দুই বছর পর আইপিএলের সপ্তম আসরে ব্যাট হাতে সাকিব করেন ২২৭ রান। সেবারও শিরোপা জেতে কলকাতা। ১১তম আসরের আগে ব্যাটে-বলে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ওই দুই আসরই সেরা।
সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলের ১১তম আসরে অবশ্য নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে ১৭ ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছেন ২৩৯ রান। আর বল হাতে ঝুলিতে পুরেছেন ১৪টি উইকেট। দল শিরোপা জিতলে অবশ্য ষোলকলাই পূর্ণ হতো সাকিবের। ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে আট উইকেটে হারায় তা আর হয়নি।
অবশ্য শিরোপা না জিতলেই বা কী, নিজ দলের হয়ে ফাইনাল পর্যন্ত সবকটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশি এই তারকা অলরাউন্ডার প্রমাণ করেছেন দলের জন্য তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। যদি টাকার হিসাবে বলা হয় তবে দুই কোটি রুপির সাকিব, একাদশতম আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ফিরিয়ে দিয়েছেন নয় কোটি রুপি!
পারফরম্যান্সের বিচারে ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিক ইনফো সম্প্রতি একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সাকিবকে মাত্র দুই কোটি রুপিতে দলে ভেড়ালেও তার পারফরম্যান্সের বিচারে তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি রুপি। বিক্রিত মূল্যের হিসাবে এটা প্রায় পাঁচ গুন! অর্থ্যাৎ সাকিব তার মূল্যের প্রায় পাঁচ গুন অর্থই পারফরম্যান্স দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন সাকিবেরই সতীর্থ ও হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এই কিউই ক্রিকেটারকে তিন কোটিতে কিনেছিল হায়দরাবাদ। আসর শেষে পারফরম্যান্সের বিচারে উইলিয়ামসনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০.৬৮ কোটি রুপিতে। এই তালিকার দুই নম্বরে আছেন চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনার শেন ওয়াটসন।
ফাইনালসহ ১১তম আসরে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন ওয়াটসন। নিলামে এই অজি ক্রিকেটারের ক্রয়মূল্য ছিল চার কোটি রুপি, পারফরম্যান্সের বিচারে আসর শেষে তার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১.৬ কোটি রুপিতে। এই তালিকারই তিন নম্বর অবস্থানে আছেন সাকিব। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের পরের দুটি স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে চেন্নাইয়ের আম্বাতি রাইডু এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুনীল নারাইন। সূত্র; প্রিয় ডট কম
Leave a Reply