অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাদ্দাম হোসেন (৩৬) নামে এক ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের এএসপি ও ওসিসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শুক্রবার দিনগত রাত সোয়া ২টার দিকে জেলার সীমান্তবর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের কড়ইবন রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাদ্দাম হোসেন চৌদ্দগ্রামের উজিরপুর ইউনিয়নের ভাটবাড়ি গ্রামের আবুল হাশেম ওরফে কাশেমের ছেলে। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল ফয়সাল এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে ২শ’ বোতল ফেনসিডিল ও ৩ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সাদ্দামের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রামসহ বিভিন্ন থানায় মাদক আইনে ১২টি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মাদক বিরোধী অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত ১৪ মাদক ব্যবসায়ী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ২২ জুন থেকে শুরু হয় এই চিরুনী অভিযান। মাদক পাচারের অন্যতম রুট ভারতীয় সামান্তবর্তী উপজেলার আদর্শ সদর , সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম , বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার মুরাদনগরে পুলিশ – মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে পৃথক বন্দুক যুদ্ধে তারা নিহত হয়।
২২ মে মঙ্গলবার রাত একটায় আদর্শ সদরের বিবির বাজার এলাকায় শরীফ নামের (২৬) পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে সদর দক্ষিণ উপজেলার মহেশপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৫ টি মাদক মামলা রয়েছে।
পৃথক অভিযানে একই স্থানে পিয়ার আলী (২৮) বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে আদর্শ সদর উপজেলার শুভপুর গ্রামের আলী মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা ছিল।
২৩ শে মে বুধবার রাত সাড়ে ১২ টায় আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর ব্রীজ এলাকায় ইসহাক ওরোফে ইসা (৩৫) ) পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে আদর্শ সদর উপজেলার আব্দুল জলিলে ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১১ টি মামলা রয়েছে।
২৪ মে বৃহস্পতিবার রাত একটায় চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডায় এলাকায় পুলিশের বন্দুক যুদ্ধে বাবুল, ওরোফে লম্বা বাবুল নিহত হয়। সে চৌদ্দগ্রামের বৈদ্দের খিল গ্রামের আমান মিয়ার ছেলে।তার বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা ছিল।
একই সময় সদর দক্ষিণ উপজেলার গোয়ালমথন এলাকায় রাজিব (২৬) পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে সদর দক্ষিণ চাঙ্গিনি গ্রামের মৃত শাহ আলম মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা ছিল।
২৬ মে শনিবার রাত দেড়টায় ব্রাহ্মণপাড়ার বাগড়া এলাকায় বাবুল (৪০) পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে ব্রাহ্মণপাড়া আশাবাড়ি গ্রামের আব্দুল মালেকে ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৬ টি মামলা রয়েছে।
২৮ শে মে সোমবার কুমিল্লার দেবিদ্বারে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চলাকালে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এনামুল হক দোলন (৩৫) নামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সে ভিংলাবাড়ী মির্জানগর এলাকার মৃত আব্দুল্লাহ ভূইয়া ছেলে। অাত্মরক্ষার্থে জান-মালের নিরাপত্তায় ২৩ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। তার বিরুদ্ধে ১২ টি মামলা রয়েছে।
একই সময় আলমাস(৩৬) নামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় দক্ষিণ তেতা ভূমি গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৮ টি মামলা রয়েছে।
২৯ শে মে মঙ্গলবার কুমিল্লা মুরাদনগরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বাতেন (৩৬) ও কানা লিটন (৩৬) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত বাতেন মুরাদনগর উপজেলার বাখর নগর এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে এবং কানা লিটন একই উপজেলার পৈয়াপাথর গ্রামের আব্দুল সামাদ মিয়ার ছেলে। এ সময় তিন পুলিশ আহত হয়। তেনের বিরুদ্ধে মোট ৮টি ও লিটনের বিরুদ্ধে মোট ৭ টি মামলা বিচারাধীন আছে।
৩০ মে কুমিল্লার জেলার বুড়িচং থানা পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুশমত আলী নিহত হয়েছে। সে উপজেলার কালীকৃষ্ণ নগর গ্রামের মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে।
বুধবার রাত সাড়ে ১২ টা ৫৫ মিনিটে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় এসআই মোয়াজ্জেম, এএসআই সজীব ও কনেস্টবল আল আমিন আহত হযেছে।
এছাড়া পুলিশের বিশেষ অভিযানে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় নারী সহ কয়েক শতাধিক মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত অভিযানকে স্বাগত জানিয়েন জানিয়েছেন কুমিল্লাবাসী।
Leave a Reply