নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোবার দলীয় প্রার্থীতা ঘোষনা করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। কুমিল্লা-০২(হোমনা-তিতাস) আসন থেকে মনোনয়ন দেয় রাজনীতিতে সদ্য যোগ দেয়া নতুন মুখ সেলিমা আহমেদ মেরী কে। আর এতে ক্ষোভে ফেটে পরে হোমনা তিতাস উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
তৃনমূলের নেতাকর্মীদের দাবীকে অগ্রাহ্য করে প্রার্থীতা দেয়ায় প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দাবী জানান হোমনা তিতাসের আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ জাহাঙ্গীর আলম সরকার এম কে আনোয়ারের সাথে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়ে চলে গেলে হোমনা-তিতাসের আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ অসহায় হয়ে পরে।
মামলা হামলায় জর্জরিত হতে থাকে,তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজ,রেহানা মজিদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সনামধন্য পপি লাইব্রেরীর সত্বাধিকারী হোমনা উপজেলা জয়নগর গ্রামের কৃতি সন্তান অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ।
রাজনীতিতে এসেই কঠিন দু:সময় পার করতে হয় তাকে ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত জোট সরকারের নানা নির্যাতন সহ্য করে হোমনা তিতাসের প্রতিটি এলাকা ঘুরে ঘুরে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী সংগঠক হিসেবে আভির্ভূত হন। তারই ফলস্বরুপ ২০০৮সালে নির্বাচনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত এম কে আনোয়ারের সাথে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বরন করলে ও দলের মজিদ সাহেবের পক্ষে একটা ক্লিন ইমেজ তৈরী হয়। তারই ধারাবাহিকতা দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকার গরীব অসহায়দের পাশে থেকে কুমিল্লা-০২ হোমনা তিতাস এর মাঝে ক্লিন ইমেজ তৈরী করেন।
বিরোধী পক্ষও তাকে একজন ভালো মানুষ হিসেব জানে। তারই ধারাবািহকতায় ২০১৪সালে নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকার প্রার্থী হিসেবে অধ্যক্ষ মজিদকে প্রার্থী করে পরে দলের বৃহৎ স্বার্থে জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেরে দেন। নেত্রীর প্রতি অবিচল আস্থা রেখে তিনি নিশ্চিত জয় কে বিশর্জন দিয়ে দলের কান্ডারী হিসেবে আভির্ভূত হন। তারপর থেকে এলকায় নিয়মিত কাজ করে গেছেন। তার কর্মকান্ড ও দলীয় আনুগত্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনিই দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন এমনটাই আশা করেছি হোমনা তিতাসের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
কিন্তু সবাইকে হতাশ করে সেলিমা আহমেদ দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পরেন। তারা মনে করছেন এ সিদ্বান্তে নৌকার জয়ী হয়ে আসা কঠিন হয়ে পরবে। মনোনয়ন ঘোষনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হতাশার ছাপ লক্ষ করা গেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন রাজনীতিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন নাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোমনা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক খন্দকার নজরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু যুবলীগ করি নৌকার বিরুদ্ধে করা যাবে না তবে অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ স্যার কে মনোনয়ন দিলে এ আসনটি বিনা প্রতিদন্ধীতায় নির্বাচিত করতে পারতাম। হোমনা -তিতাসের মানুষের বিশাল ক্ষতি করা হয়ে গেল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাষানিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা প্রবাসী মহরম আলী জানান, অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ স্যার হোমনা-তিতাসে আওয়ামীলীগের বিকল্প কোন প্রার্থী হতে পারে না। স্যার কে ছাড়া অন্য কেহ প্রার্থী হলে আওয়ামীলীগ এ আসনে জিততে পারবে না। এ বিষয়ে ঘারমোড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মর্তুজা হোসেন মোল্লা জানান, আমরা হতাশ,স্যারের বিকল্প এ আসনে অন্য কোন প্রার্থী মেনে নেয়া যায় না।
Leave a Reply