(মোঃ জুয়েল রানা, কুমিল্লা)
কুমিল্লার হোমনায় বাঙ্গারি ও লাকড়ি ব্যবসার আড়ালে চলছে সরকারি বিদ্যুতের তার ও ট্রান্সমিটার চুরির ব্যবসা। বুধবার (২১ আগস্ট) হোমনা থানা পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামের মৃত খেলু বেপারীর ছেলে আঃ লতিফের (৪৫) মির্জানগর বাজারে অবস্থিত বাঙ্গারি দোকান থেকে ২ বান্ডিল সরকারি বিদ্যুতের তার উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হোমনা থানার এসআই শফিউদ্দিন এই মাল উদ্ধার করে। তবে লতিফকে আটক করতে পারেননি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ দুই বান্ডিল তার উদ্ধার করে নেওয়ার পর আরও এক বান্ডিল তার পরে ছিল।
এই বিষয়ে বাঙ্গারি ব্যবসায়ী আঃ লতিফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি বিএনপি করি এবং সমাজে বিচার শালিসে ন্যায় বিচার করি বিধায় আমার এত শত্রু। আঃ হকের ছেলে মাহবুব, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈলের ছেলে নাজমুল এবং আজিজুল আমাকে হেয় করার জন্য এসব করছে।
হোমনা থানার এসআই শফিউদ্দিন বলেন, তার উদ্ধার হয়েছে সত্য তবে, মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছ।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈলের ছেলে নাজমুল বলেন, আঃ লতিফ একজন চিহ্নত চাঁদাবাজ। তার কথামত যারা চলে না, তাদেরকেই সে অত্যাচার করে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাড়িতে হামলা চালায়। তার প্রমান মিলবে অত্র গ্রামের মানুষের কাছে জিগ্যেস করলে।
মৃত আঃ হকের ছেলে মাহবুব বলেন, আমি বিদেশে থাকি। লতিফের সাথে আমার কোন দ্বন্দ্ব নাই। লতিফ একজন সুদের কারবারি। অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন মানুষের নিকট সে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা সুদে লাগিয়েছে। তার ছোট ভাই আবু মুছা একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে চুরির ঘটনাসহ একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
প্রবাসি আজিজুল বলেন, সন্ত্রসী লতিফের ভয়ে আমি এলাকায় বসবাস করতে পারি না। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে আমি নিজের বাড়ি ঘর ছেড়ে হোমনা শহরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকি। গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) একটি পারিবারিক সামাজিক অনুষ্ঠানে এলাকায় আসার পর লতিফ ও তার ভাইয়েরা রামদা, ছুরি, লাঠিসোটা নিয়ে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে। আমি প্রাণ ভয়ে দ্রুত পালিয়ে আসি।
বিষয়টি নিয়ে জয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ তাইজুল ইসলাম বলেন, লতিফ খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। সে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায় এটা সত্য। এই কারণে একটি বিচারে তাকে ৭০ হাজার টাকা মোচলেকা ধার্য করা হলে, সে বিচার থেকে পালিয়ে যায়।
এত অভিযোগ থাকা স্বত্ত্বেও এবং সরকারি বিদ্যুতের তার পাওয়ার পরও পুলিশ তাকে কেন গ্রেফতার করছে না এটাই জনমনে প্রশ্ন?
তবে আরোও জানা যায়, বালু ব্যবসার আড়ালে লতিফের ছোট ভাই আবু মুসার রয়েছে রমরমা মাদক ব্যবসা। আর এ বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে লতিফগং ও মাহবুব গংদের সাথে রয়েছে দ্বন্দ্ব।
Leave a Reply