( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া কাজী আশিকুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
শনিবার বিকেলে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জালাল আহমেদের বিশেষ আদালতে তাকে হাজির করা হলে কাজী আশিকুর রহমান আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকা এবং ঘটনার বর্ণনা দিলে ম্যাজিস্ট্রেট জালাল আহমেদ তার জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ডপূর্ব তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোরশেদ আলম জানান, ধর্ষিত শিশুটি এখনো কথা বলার মতো সুস্থ হয়ে উঠেনি, তাই ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট তার ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানে হাজির করা সম্ভব হয়নি, তাছাড়া ধর্ষক যেহেতু অকপটে ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে, সেহেতু ভিক্টিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান খুব একটা জরুরি না।
তবে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য জেলা সিভিল সার্জনের বরারবরে চিঠি দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকালে শিশুটি রাস্তায় একা হাটতে দেখে ধর্ষক কাজী আশিক তাকে ১০ টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।
এ সময় তার মা তাকে নিয়ে যেতে বলেছে বলেও জানায়। আশিক ওই শিশুটিকে বলে পাশের ওই বাসায় তার মা গৃহপরিচিকার কাজ করছে। পরে মোহনা আবাসিক এলাকার ‘জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্ত’র কার্যালয়ের পেছনের একটি পরিত্যক্ত নির্জন বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি করলে তাকে বেধড়ক মারধরও করে। শিশুটির আর্ত-চিৎকারে স্থানীয় এক মহিলা ও উপজেলার মাশিকাড়া গ্রামের দু’জন পথচারী ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক রক্তাক্ত শিশুটিকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ওই ঘটনায় ভিক্টিমের পিতা বাদী হয়ে দেবিদ্বার পৌর এলাকার কাজীবাড়ির কাজী খোকন’র ছেলে ধর্ষক কাজী আশিকুর রহমান(১৬)কে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় দেবিদ্বার কাজীবাড়ির কাজী খোকনের ছেলে অভিযুক্ত ধর্ষক কাজী আশিকুর রহমান(১৬)কে পদ্মকোট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
শিশুটি উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের ভৈষখোলা (পদ্মকোট) গ্রামের এক রিকশাচালকের মেয়ে, মাও গৃহপরিচিকার কাজ করেন। বর্তমানে সে ছোট আলমপুর দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকার হেলাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। শিশুটিও বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত।
Leave a Reply