( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লায় চেক প্রতারনা মামলায় আইসিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচএনএম শফিকুর রহমানের স্ত্রী একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আইসিএলের পরিচালক সামছুন্নাহার মিনাকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে কুমিল্লার আদালত।
২ জুলাই সোমবার কুমিল্লা নাঙ্গলকোট থানার বিজ্ঞ ম্যাজিস্টেট শাহনেওয়াজ মনির এর আদালতে সামছুন্নাহার মিনা ও তার ছেলে মোঃ শাহেদ হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত শাহেদকে জামিন দিলেও সামছুন্নাহার মিনার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
মামলার অপর আসামী আইসিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচএনএম শফিকুর রহমান, পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, মোঃ খোরশেদ আলম, কাজী ফখরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, আইডিয়েল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ (আইসিএল) গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচএনএম শফিকুর রহমান, পরিচালক তার স্ত্রী সামছুন্নাহার মিনা, ছেলে শাহেদসহ তাদের অন্যান্য পরিচালকরা কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার শ্যামপুর গ্রামের সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মৃত মনিরুল হকের স্ত্রী মিসেস ফখরুজ্জাহানের কাছ থেকে বিভিন্ন কুপ্ররচনার মাধ্যমে নগদ ২৩ লক্ষ টাকা লভাংশ দিবে বলে নেয়।
কিছুদিন লভ্যাংশ দিয়ে পরবত্তীতে আর কোন লভাংশ না দিয়ে পুরো টাকা আতœসাধ করে। মামলার বাদী জানায়, তার স্বামী একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন । পুলিশে পরিদর্শক পদে কর্মরত অবস্থায় স্বামীর আকস্মিক মৃত্য হয়। স্বামীর মৃত্যর পর তার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও পেনশনের সকল টাকা তারা কু-প্ররচনার মাধ্যমে আতœসাধ করে নিঃস্ব করে দেয়। এ ব্যাপারে মিসেস ফখরুজ্জাহান বাদী হয়ে বিগত ২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবত্তীতে সিআইডি মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। আদালত তাদের বিরেুদ্দে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট মোঃ আব্দুল মান্নান মজুমদার জানান, চেক প্রতারনা মামলায় আইসিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী এইচএনএম শফিকুর রহমান, তার স্ত্রী সামছুন্নাহার মিনা, ছেলে মোঃ শাহেদসহ অন্যান্য পরিচালকদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ মামলার প্রেক্ষিতে ২ জুলাই সোমবার কুমিল্লা নাঙ্গলকোট থানার বিজ্ঞ ম্যাজিষ্টেট শাহনেওয়াজ মনির এর আদালতে সামছুন্নাহার মিনা ও তার ছেলে মোঃ শাহেদ হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত শাহেদকে জামিন দেয় এবং সামছুন্নাহার মিনার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। আইসিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচএনএম শফিকুর রহমানসহ তাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার ২৫ টিসহ চট্রগ্রাম বিভাগে মোট ১২৫টি মামলা রয়েছে। সবগুলোতেই তাদের বিরুদ্দে গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।
Leave a Reply