আকিবুল ইসলাম হারেছঃ
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক পেলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর)। বর্তমানে তিনি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
বুধবার(৫ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২০ সালের একুশে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করে। জাফর ওয়াজেদ ছাড়াও আরও ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান এবার একুশে পদক পেয়েছেন।
সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের জোরপুকুরিয়া গ্রামের সন্তান ।পিতা মরহুম অধ্যাপক মোঃ ইছমত আলি,মাতা মোছাম্মত রোকেয়া বেগম।তিন বোন চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়।১৯৭৩ সালে চান্দিনার মাধাইয়া বাজার ছাদিম হাই স্কুল থেকে এস.এস.সি ,১৯৭৫ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করেন।
সাবেক ছাত্রনেতা জাফর ওয়াজেদ ঢাবিতে অধ্যায়ন কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন।কাদের-চুন্নুর নেতৃতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকশনা সম্পাদক ছিলেন । বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতিও ছিলেন তিনি।
বাবার কর্মস্থল দাউদকান্দিতে জন্ম নেয়া জাফর ওয়াজেদ সর্বশেষ দৈনিক জনকণ্ঠের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে দৈনিক সংবাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলাবাজার পত্রিকা ও দৈনিক মুক্তকণ্ঠের প্রধান প্রতিবেদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতীয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও এক প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেওয়া হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেবেন।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরনোত্তর), শিল্পকলা সংগীতে বেগম ডালিয়া নওশীন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক, শিল্পকলা নৃত্যে মো. গোলাম মোস্তফা খান, শিল্পকলা অভিনয়ে এস এম মহসীন, শিল্পকলা চারুকলায় অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান।
মুক্তিযুদ্ধে তিনজনই মরনোত্তর পদক পেয়েছেন। তারা হলেন- হাজি আক্তার সরদার, আব্দুল জব্বার ও ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক ওরফে বাচ্চু ডাক্তার।
এছাড়া সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর), গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম ও হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী, সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি এবং চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার। আর এবার একুশে পদক পাওয়া একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো- গবেষণায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক দিয়ে আসছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন চার লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।
Leave a Reply