(এস.এম.মনির, কুমিল্লা)
করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার মানুষের মাঝে নিরপত্তা জোরদার করতে গত রবিবার গনবিজ্ঞপ্তিজারী করে উপজেলার দোকাটপাট, শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ রাখার নিদের্শনা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে.এম.ইয়াসির আরাফাত।
এছাড়া উপজেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি করতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত কেউ ঘরের বাইরে না বের হওয়াসহ প্রশাসনের সকল নির্দেশনা মানতে জনসাধারনকে অনুরোধ জানানো
এছাড়া গনবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলায় সকল প্রকার গনপরিবহন আসা-যাওয়ার ওপর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।কঠোর নির্দেশনার পরও কিছু অসাধু ব্যক্তি হাট-বাজারে দোকান পাট খোলা রেখে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করায় সোমবার উপজেলার বাগমারা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম.ইয়াসির আরাফাত।এসময় লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ূব এর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা
ভ্রাম্যমান অভিযানে দোকান খোলা রেখে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করায় বাগমারা বাজারের আজমীর ক্লথ স্টোরকে ২০,০০০ টাকা, আল আরফিন টেইলার্সকে ৫,০০০ টাকা, নিউ ফ্যাশন টেইলার্সকে ১০,০০০ টাকা, অঙ্গসাজ টেইলার্সকে ৫,০০০ টাকা অর্থদন্ড এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কাপড় ক্রয় করায় মো: ছাদেক ও মো: কামরুলকে ২,০০০ টাকা করে অর্থদন্ড করা হয় ।
এছাড়া একই সময় রাস্তার উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে আপলোড করায় ট্রাক চালক মো: হুমায়ুনকে ৫,০০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
ইউএনও কে.এম.ইয়াসির আরাফাত বলেন, লালমাই উপজেলায় জনসাধারনের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারী নির্দেশনা মেনে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই করোনা সংক্রমন রোধে সোমবার থেকে উপজেলার সকল শপিংমল, মার্কেট, কাপড় দোকান বন্ধ ঘোষনা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নিদের্শনা অমান্য করে কাপড় দোকান খোলা রাখায় ও কাপড় কেনায় বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়কে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। জনসচেতনায় সকল কার্যক্রম ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply