অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের রামারবাগে হামলাকারীরা নিজেদেরকে বাঁচাতে পাল্টা মিথ্যে হামলার অভিযোগ করছেন বলে জানিয়েছেন ওই গ্রামবাসী। এনিয়ে গ্রামবাসী লিখিতভাবে জোরালো প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
গ্রামবাসী লিখিত অভিযোগে জানায়, সাম্প্রতিককালে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মসজিদে গণজামায়েত বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট মুসল্লি দিয়ে নামাজ আদায়ের বিষয়ে গ্রামবাসী দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এতে ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ তাদের মধ্যস্থতার চেষ্টা চালায়। কিন্তু একটি পক্ষ না মেনে আরেকটি পক্ষের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, টুটুল, আবদুল, আউয়াল, আরমান, জামাল হোসেন, রনি, মানিক, সোহাগ, রফিক, জসিম, সবুজ, শরিফ, শাহিন, সালমান, আল-আমিন, নুরুন্নবী, ফজর আলী, আবুল কাশেম, চৌধুরীসহ প্রায় ৩০/৩৫জন সাধারণ মানুষ গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগে আরো জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত আনোয়ার মেম্বার নানা অজুহাতে শালিস দরবারের নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায়, অহেতুক মারধরসহ সাম্প্রতিককালে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। যার ফলে গ্রামে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা আনোয়ার মেম্বারের কবল থেকে মুক্তি চায়।
আহতদের মধ্যে ওইগ্রামের আবদুল জানান, গ্রামের আনোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে রামারবাগ গ্রামের মাহফুজ, মুজিবুর, তারেক, মোকাব্বর হোসেন সবুজ, মোশারফ, সাব্বির, গাঁজা মামুন, শাহিন, নাসির, শেখ ফরিদ, আলী আহমেদ, আহসান, সজল, কামরান, মাহরুফ, নেজাম উদ্দিন, আসিফ, জাফর, বিল্লাল, আতাকরা গ্রামের রহিম ও নাসির ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে নামাজ আদায়ের পক্ষের মুসল্লিদের উপর হামলা চালায়।
এ ঘটনায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর ও প্রচার সম্পাদক ফজর আলী জানান, ওইদিন ঘটনার সময় রাশেদ না থাকলেও তার নামে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে অভিযোগ করায় আমরা হতবাক হয়েছি। বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে তারা মিডিয়ার আশ্রয় নিয়েছে।
গ্রামবাসীর লিখিত প্রতিবাদে আরো জানান, ছাত্রলীগ সভাপতি রাসেল আহম্মেদ রাশেদের বিরুদ্ধে তার গ্রামবাসীর উপর হামলার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয়। একটি কুচক্রি মহল রাজনৈতিকভাবে হয়রানী ও ঘায়েল করার জন্য এ অভিযোগ তুলেছেন। এনিয়ে তার গ্রাম রামারবাগের সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply