( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লার দেবিদ্বারে দশ টাকা দেওয়ার কথা বলে লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সাড়ে ৬ টার দিকে দেবিদ্বার ছোট আলমপুর বাগানবাড়ি এলাকার জামাল মিয়ার চায়ের দোকানের পাশে একটি নির্জন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা ওই শিশুটিকে চান্দিনা রোডে হাড়ভাঙা চিকিৎসালয়ের সামনে রাস্তায় রক্তমাখা পেন্ট পড়ে কান্না করতে দেখে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। । ।দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুবা আলম আমাদের সময়কে জানান, শিশুটির শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ায় আশংকাজনক অবস্থায় দেখে দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
শিশুটি এ প্রতিবেদককে জানান, ১০ টাকা দিবে বলে আমাকে একটি নির্জন ঘরে নিয়ে যায়। পরে ‘আমার ওখানে (শিশুটি হাত দিয়ে লজ্জাস্থানে দেখিয়ে বলে) অনেক ব্যাথা দেয় ওই খারাপ লোকটা’। লোকটা কে তুমি চেনো কিনা জানতে চাওয়ায় শিশুটি জানান, লোকটা অনেক বড় আমি তাকে চিনি না।
শিশুটির বাবা মো. তাজুল ইসলাম ফোনে আমাদের সময়ের এ প্রতিবেদককে জানান, মেয়েকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় রক্ত লাগবে। রক্তের জন্য ঘুরছি। বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন ।
শিশুটির মা রোকেয়া বেগম আমাদের সময়কে জানান, আমার মেয়ে এখনও স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় হয়নি। আমি পাশের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করি। ঘটনার দিন বিকালে মেয়েকে ঘরে রেখে কাজে যাই। কে বা কারা মেয়েকে টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে নির্জনস্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যায়।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তিনা আক্তার এ প্রতিবেদককে ফোনে জানান, শিশুটির শরীর থেকে প্রচুর রক্ষক্ষরণ হয়েছে। শিশুটিকে আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি তবে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, ৫ বছরের শিশুর ধর্ষণের খবর শুনে সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়েছি। শিশুটি অপরাধীকে সনাক্ত করতে না পারায় আমরা সম্ভাব্য স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখিছি।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার সার্কেল সিনিয়র পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ সেলিম জানান, আমরা ঘটনাস্থলসহ বিভিন্ন সন্দেহমূলক জায়গায় অভিযান চালিয়েছি আশা করি খুব দ্রুত অপরাধীকে আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসতে পারব।
Leave a Reply