অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বলে মন্তব্য করায় এবার শীর্ষ এক নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।ট্রাম্প জানিয়েছেন, নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ‘অত্যন্ত ভুল’ মন্তব্য করার জন্য তিনি সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেছেন। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও আলজাজিরার।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হারলেও পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ট্রাম্প এবং কোনো রকম তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।
তবে এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে সুরক্ষিত’ নির্বাচন হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী কর্মকর্তারা।সিসাপ্রধান ক্রিস ক্রেবসকেক্রেবস সম্প্রতি রিপাবলিকানদের অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে উঠেছিলেন। কারণ সিসার একটি ওয়েবসাইট ছিল রিউমার কন্ট্রোল বা গুজব নিয়ন্ত্রণ নামে।যেখানে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য খণ্ডন করা হতো। তার বেশিরভাগ প্রভাব পড়েছে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপরেই।
গত সপ্তাহেই পদত্যাগ করেছিলেন সিসার সহকারী পরিচালক ব্রায়ান ওয়ার। হোয়াইট হাউস থেকে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তবে বরখাস্ত হলেও এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ দেখা যায়নি ক্রেবসের বক্তব্যে।বরখাস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ক্রেবস টুইট করেছেন, তিনি ট্রাম্পের একটি অভিযোগ খণ্ডন করেছেন, যেখানে রিপাবলিকান এ প্রার্থী দাবি করেছিলেন- অনেক রাজ্যে তার ভোট জো বাইডেনের নামে পাল্টে দেয়া হয়েছে।
ক্রেবস টুইটারে আরও বলছেন, নির্বাচনী পদ্ধতি জালিয়াতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ৫৯ নির্বাচনী নিরাপত্তা কর্মকর্তা একমত হয়েছেন, এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তি নেই এবং প্রযুক্তিগতভাবেও সেটি সম্ভব নয়।
সিসার ওয়েবসাইটে দেয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যদিও আমরা জানি যে প্রমাণ ছাড়াই অনেক অভিযোগ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর সুযোগ আছে। তবে আমরা নিশ্চিত করে বলছি, নির্বাচনের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে আমাদের পুরো আস্থা রয়েছে। আপনাদেরও সেটি রাখা উচিত। যদিও এ বিবৃতিতে কোথাও ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
Leave a Reply